Panchayat Elections 2023: তৃণমূলে পড়ল ‘প্রলেপ’, নেতা কাস্তে হাতুড়ি হাতে নিতেই ঘাসফুলের কার্যালয়েরও ‘হাত’ বদল
Panchayat Elections 2023: জলপাইগুড়ি বানারহাটের ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তেলিপাড়া এলাকার ঘটনা। ২০১১ সালে এ রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এশিয়ান হাইওয়ের ৪৮ নম্বর সড়কের পাশের সরকারি জমি দখল করে পার্টি অফিস তৈরির অভিযোগ উঠেছিল ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে।
বানারহাট: সবটাই যেন এক রাতের খেল! তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC Party Office) কার্যালয় রাতারাতি বদলে হয়ে গেল কংগ্রেসের (Congress)। যা দেখে তাজ্জ্বব সাধারণ জনগণ। শুধু তাই নয়, মুছে ফেলা হয়েছে তৃণমূলের নাম এমনকী মুছে ফেলা হয়েছে তৃণমূলের দলীয় প্রতীকও।
জলপাইগুড়ি বানারহাটের ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তেলিপাড়া এলাকার ঘটনা। ২০১১ সালে এ রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এশিয়ান হাইওয়ের ৪৮ নম্বর সড়কের পাশের সরকারি জমি দখল করে পার্টি অফিস তৈরির অভিযোগ উঠেছিল ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বিরোধীদের একাধিক কার্যালয় দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তবে ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটের আগে দখল হওয়া দলীয় কার্যালয়গুলি মুক্ত হতে শুরু হয়েছে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে জেলাজুড়ে। তাহলে কি অন্দরে-অন্দরে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করছে বিরোধীরা? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের
গতকাল ওই এলাকার তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শ্রীবাস দাস সিপিএম-এ যোগদান করেন। এরপর রাত্রিবেলা ই তৃণমূলের পার্টি অফিস বদলে হয়ে গেল কংগ্রেসের। এই বিষয়ে তৃণমূূল জেলা সাধারন সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং বলেন, “আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। তবে কোনও শক্তি খর্ব হয়নি। আমরাই জিতব ভোটে।” যদিও দলবদলু নেতা শ্রীবাস দাস বলেছেন, নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনও কিছুই তিনি জানেন না। তিনি বলেন, “আমি ত্রিপল টাঙিয়ে নতুন পার্টি অফিস করব। কাদের ক্লাব কারা দখল করেছে কিছুই বলতে পারব না।”
উল্লেখ্য, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস সাঁকোয়াঝোরা-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে আগেই ধরাশায়ী হয়েছিল। তারপর কিছুটা শক্তি বৃদ্ধি করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের মধ্য দিয়ে। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন দুর্নীতির ইস্যুতে জেরবার শাসক দল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই ওই এলাকায় বাম শিবির সহ অন্য বিরোধী শিবিরে তৃণমূল ছেড়ে যোগদানের আকছাড় খবর উঠে আসছিল। এরপর গতকাল আবার তৃণমূলের দাপুটে নেতা যোগদান করায় বিরোধীদের শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।