Maynaguri: ময়নাগুড়ির মানিক খুনের ঘটনাকে গণপিটুনি বলতে ‘নারাজ’, রাজনীতির রঙও ‘ঝাপসা’, ধৃতদের হেফাজতেই নিল না পুলিশ

Maynaguri: ঘটনার পরই ৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এদিন ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন পুলিশ তাঁদের হেফাজতে নিল না? প্রশ্নটা আদালতের নির্দেশের পর থেকেই ঘোরাফেরা করছে।

Maynaguri: ময়নাগুড়ির মানিক খুনের ঘটনাকে গণপিটুনি বলতে 'নারাজ', রাজনীতির রঙও 'ঝাপসা', ধৃতদের হেফাজতেই নিল না পুলিশ
প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2024 | 11:47 PM

প্রসেনজিৎ চৌধুরী

ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়ির কংগ্রেস কর্মী মানিক রায়কে খুনের ঘটনাকে গনপিটুনি বলতে নারাজ পুলিশ প্রশাসন। রাজনীতির রঙও খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। বরং মানিকের স্ত্রীর অভিযোগের বয়ানকে ঢাল করে পুলিশের দাবি, পুরানো শত্রুতার জেরেই পিটিয়ে খুন। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতেও নিল না ময়নাগুড়ি থানা। শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ বলেই কী অভিযুক্তদের দ্রুত জামিন পেতে ঘুরপথে সাহায্য? উঠছে প্রশ্ন। পুলিশের কর্তাদের অবশ্য দাবি, মানিকের স্ত্রী নির্দিষ্ট ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাদের সকলের পরিচয় মিলেছে। এই খুনের ঘটনায় ওই ১১ জন ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয় কারও সম্পর্কে FIR-এ কিছুই লেখা নেই। ফলে ধৃত ৫ জনের জিঞ্জাসাবাদের প্রশ্ন নেই।

এদিকে নিহতের স্ত্রী কিন্তু ইতিমধ্যেই ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। স্পষ্ট বলেছেন, “তৃণমূলের লোকেরা ওর নামে নারী নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ করেছিল। পাঁচ বছর আমরা শিলিগুড়িতে ছিলাম। রবিবার ফিরে আসি। তারপরঅ বাপ্পা রায়, অমল দাস ওরা এল আমাদের বাড়িতে। ওরা এসে বলে তোকে আজ ডিজেল দিয়ে পোড়াব, গাছে বেঁধে মারে। অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপাল।”

ঘটনার পরই ৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এদিন ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন পুলিশ তাঁদের হেফাজতে নিল না? প্রশ্নটা আদালতের নির্দেশের পর থেকেই ঘোরাফেরা করছে। যদিও পুলিশের দাবি, খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত সামগ্রীও ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাই পুনরায় জিঞ্জাসাবাদের দরকার নেই বলেই পুলিশ ধৃতদের কাস্টডিতে নেয়নি।

এদিকে এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত দিলীপ রায়। পুলিশ তাঁকেও গ্রেফতার করেছে। কিন্তু, তার বাবা ও মায়ের দাবি, দিলীপ তৃণমূল কর্মী। কিন্তু মারামারির ঘটনায় আদৌও যুক্ত নয়। সে তার ক্যান্সার আক্রান্ত বাবাকে নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গিয়েছিল। বিকালে বাড়ি ফেরার পর টিউশন পড়াতে যায়। ঘটনায় তাদের ছেলের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় হতবাক পরিবার। অভিযোগ ছেলেকে মিথ্যা মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে।