AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, সংক্রমণের ভয়ে করোনা আক্রান্তের দিন কাটছে বাথরুমে!

ধূপগুড়ি জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আড়াইশো পেরলেও এতদিন কোনও সেফ হোম ছিল না। তবে শনিবারই সেফ হোম করার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর এবং ব্লক প্রশাসন।

বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, সংক্রমণের ভয়ে করোনা আক্রান্তের দিন কাটছে বাথরুমে!
নিজস্ব চিত্র
| Updated on: May 09, 2021 | 4:59 PM
Share

ধূপগুড়ি: জেলাজুড়ে করোনা (Corona)  আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে। কিন্তু তার মধ্যেও ধূপগুড়ি (Dhupguri)-তে এতদিন একটিও সেফ হোম (Safe Home) ছিল না। এই পরিস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর ছবি দেখা গেল ধূপগুড়ি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ধনতলা গ্রামে। বাড়িতে একান্তবাসে থাকার মতো জায়গা নেই। তাই করোনা আক্রান্ত যুবক বাধ্য হয়ে বাস করছেন শৌচাগারের পাশে ছোট্ট চানঘরে! সেখানেই তাঁর খাওয়া-দাওয়া, সেখানেই ঘুমোচ্ছেন। প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা।

জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত ওই যুবক ধূপগুড়ি একটি বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থায় কাজ করেন। কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। তাই করোনা পরীক্ষা করান। গত ৬ মে যুবকের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। চিকিৎসক পরামর্শ দেন হাসপাতালে না থেকে বাড়িতে একান্তবাসে থাকলেই চলবে। কিন্তু নিরুপায় যুবকের পরিবার। একদিকে জরাজীর্ণ একচিলতে ঘর, তার উপর করোনা আক্রান্ত যুবকের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। হোম আইসোলেশন থাকবেন কোথায়? তাই বাধ্য হয়ে শৌচালয়ের পাশে বাথরুমে দিন কাটছে তাঁর।

এভাবেই গত কয়েকদিন ধরে দিন কাটাচ্ছেন যুবক। তাঁর এই অবস্থা দেখে এলাকাবাসী চান দ্রুত প্রশাসন কোন সেফ হোমে নিয়ে যান যুবককে।

করোনা আক্রান্তের বাবা চন্দ্র রায় বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। ভাঙা ঘরে আলাদা করে থাকার ব্যবস্থা নেই। সেই কারণেই ছেলের বাথরুমে থাকার ব্যবস্থা করেছি।” সরকারি ভাবে কোনও সহায়তা মেলেনি বলেও অভিযোগ তাঁর।

এদিকে এ নিয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নমিতা রায়ের দাবি, পরিবারের তরফ থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। এখন খবর পেয়েছেন। খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতিতে উদ্যোগ বেলুড় মঠের, কলেজ ক্যাম্পাসে ৫০ শয্যার সেফ হোম 

প্রসঙ্গত, ধূপগুড়ি জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আড়াইশো পেরলেও এতদিন কোনও সেফ হোম ছিল না। তবে শনিবারই সেফ হোম করার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর এবং ব্লক প্রশাসন। আপাতত ধূপগুড়ি গার্লস কলেজে করোনা রোগীদের জন্য সেফ হোম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।