Murder: ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ! পলাতক স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন

Jalpaiguri: শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলা (Pregnant Woman)। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুন করে অন্তঃসত্ত্বাকে খুন (Murder) করে পুঁতে দেন বলে অভিযোগ।

Murder: ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ! পলাতক স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2021 | 6:23 PM

জলপাইগুড়ি: শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলা (Pregnant Woman)। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুন করে অন্তঃসত্ত্বাকে খুন (Murder) করে পুঁতে দেন বলে অভিযোগ। আদালতের নির্দেশে মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর কবর থেকে তোলা হল সেই গৃহবধূর মৃতদেহ। পাঠানো হল ময়নাতদন্তে। এমনই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল বানারহাট ব্লকের প্রধান পাড়া এলাকায়।

অভিযোগ, দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত বছর বাইশের গৃহবধূ মমতা রায়কে। কয়েক দিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দিকে আঙুল তোলেন মমতার বাপের বাড়ির লোকেরা। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছিল। তার পর আদালতের নির্দেশে মাটি খুঁড়ে সেই মৃতদেহ তুলল প্রশাসন। শনিবার বানারহাটের বিডিওর উপস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে মাটি খুঁড়ে তোলা হয় সেই অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মৃতদেহ।

মেয়ের বাবার বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ বানারহাট ব্লকের বিডিও তথা এক্সিকিউটিভ ম্য়াজিস্ট্রেট প্রহ্লাদ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে মাটি খুঁড়ে তোলা হয় মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বানারহাট ব্লকের ধূপগুড়ি থানার অন্তর্গত প্রধান পাড়া লালুয়ার মোড় সংলগ্ন এলাকায়। জানা গিয়েছে, এই এলাকার যুবক রঞ্জন রায়ের সঙ্গে মাত্র ১০ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল বারোঘরিয়ার বাসিন্দা মমতা রায় নামে যুবতীর। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়ের পর থেকে অশান্তি লেগে থাকত মমতার সংসারে। প্রায়শই তাঁকে মারধর করা হত। তার পর ৯ মাসের ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর সপ্তাহ খানেক আগে মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যু ঘিরে শুরু হয় তীব্র চাপানউতোর। পরিবারের অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেও তাঁদের মেয়ের উপর চরম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আর সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মহিলা অন্তসত্বা হওয়ার কারণে তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী হলেও স্থানীয় শ্মশানে তাঁকে কবরস্থ করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

এদিকে মৃতার বাবা সুনীল রায়ের অভিযোগ, তাঁর কন্যার উপর ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাঁর সন্দেহ, মমতাকে খুন করা হয়েছে। এবং সেটা ঘটিয়েছি শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন পুলিশের আবেদনে জেলা শাসকের নির্দেশে পরিবার ও বানারহাট বিডিও-এর উপস্থিতিতে কবর খুঁড়ে মৃত দেহটি তোলা হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ধূপগুড়ি থানায়। রবিবার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এদিকে মৃত্যুর ঘটনার দিন থেকেই পলাতক স্বামী ও তাঁর বাড়ির লোকজন। তাঁদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দোষীদের চূড়ান্ত সাজার দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন: NASA: সূর্য কণা নিয়ে গবেষণা করে নাসায় ডাক পেলেন আলিপুরদুয়ারের শৌভিক

আরও পড়ুন: TMC: তৃণমূল নেতার পুকুর ছোট হয়ে যাবে, তাই রাস্তায় ‘না’ পুরসভার! কোমর জলে পারাপার বাসিন্দাদের