Dhupguri: শীতেও জমি-জায়গা খাচ্ছে নদী, মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য চাইলেন গ্রামবাসী
Dhupguri: জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের অন্তর্গত গাদং ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজিপাড়া এলাকার ঘটনা। প্রায় পনেরো বছরেরও বেশি সময় ধরে নদী ভাঙনের সমস্যায় ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতি বছর বর্ষাকালে চাষের জমি গিলে খায় নদী। সেই খবর তুলে ধরে TV9 বাংলা।
ধূপগুড়ি: ডুডুয়া নদীর পাড় ভাঙনের জেরে চরম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছিল কৃষকদের। বিঘার পর বিঘা চাষের জমি জলের তলায় চলে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছিল গ্রামের কৃষকদের। গত বর্ষায় বিঘের পর বিঘে চাষের জমি চলে যায় নদীগর্ভে। বারবার প্রশাসনকে জানিয়ে কাজ না হওয়ার অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসী। সেই খবর তুলে ধরে TV9 বাংলা। অবশেষে সেই খবরের জেরে নদীর ভাঙন রুখতে অস্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করল গ্রাম পঞ্চায়েত।
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের অন্তর্গত গাদং ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজিপাড়া এলাকার ঘটনা। প্রায় পনেরো বছরেরও বেশি সময় ধরে নদী ভাঙনের সমস্যায় ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতি বছর বর্ষাকালে চাষের জমি গিলে খায় নদী। সেই খবর তুলে ধরে TV9 বাংলা। এলাকাবাসীর দাবি, সেচ দফতরের আধিকারিকরা এই সমস্যা সমাধানের কোনও উদ্যোগ নেয় না। অবশেষে এই সমস্যার খবর সম্প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে প্রশাসন। গাদং ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে অস্থায়ী ভাবে নদীর ভাঙন রুখতে নেওয়া হল উদ্যোগ। ধূপগুড়ি বিডিও-র নির্দেশে বাঁশ ও বালি বস্তাতে ভরে বাঁধ দেওয়ার কাজ আরম্ভ হল।
শনিবার গাদং ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান,পঞ্চায়েত সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে বাঁধের কাজ সূচনা করা হয়। আজ লক্ষ্য করা গিয়েছে গ্রামের বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে পঞ্চায়েতের এই কাজকে সাধুবার জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ডুয়ার্স আসছেন। তিনিই যেন সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ করেন।
গাদাং ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অফিসার আইয়ুব হোসেন বলেন, “কাজ শুরু হয়েছে। সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে কতটা জায়গায় বাঁধ দিতে হবে। ওরা মাপ নিয়ে গিয়েছে। তবে পঞ্চায়েত ভোট থাকার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তবে দ্রুত কাজ হবে।” স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত মেঘনাদ বর্মণ বলেন, “এখানকার অবস্থা খুবই খারাপ। বিধায়ককেও জানিয়েছি। সেচ দফতর বলছে হবেল কাজ শুরু হবে।” গ্রামবাসী যোগেশ্রী শর্মা বলেন, “প্রতিবছর একই সমস্যা। ২০০ বিঘা জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। গ্রাম পঞ্চায়েত ছোটখাটো উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা চাই স্থায়ী সমাধান হোক। মুখ্য়মন্ত্রী জানুক বিষয়টি।”