Tarun Majumdar: মজুমদার নন আসলে ‘খাসনবিশ’, কেন পদবী বদল? সেই গল্প শোনালেন প্রয়াত পরিচালকের বোন
Tarun Majumdar: গত কয়েকদিন ধরে সিসিইউ আর ভেন্টিলেশনের লড়াই শেষে সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। উত্তরবঙ্গে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর নানা স্মৃতি।
মালবাজার: বাংলাদেশের বগুড়া জেলার আদি বাসিন্দা তরুণ মজুমদারের পরিবার। সোমবার তাঁর প্রয়ানে শোকস্তব্ধ বাংলার মানুষ। শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র জগতে। প্রয়াত পরিচালকের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেক পুরনো কথাই জানালেন তরুণ মজুমদারের বোন বৈশালী। বর্তমানে মালবাজারের বাসিন্দা বৈশালী সম্পর্কে পরিচালকের খুড়তুতো বোন। বড় দাদা চলে যাওয়ায় শোকাহত তিনি।
নিজের কর্মজীবন ও বসবাসের ঠিকানা কলকাতা হলেও আজও উত্তরবঙ্গে ছড়িয়ে রয়েছে তরুণ মজুমদারের বহু স্মৃতি। তাঁর বাবা কাকাদের জমি ছিল ডুয়ার্সের মেটেলি, বাতাবাড়ি ও ময়নাগুড়িতে। আত্মীয় পরিজনদের অনেকেই রয়েছেন ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায়। মালবাজার শহরের আনন্দপল্লী এলাকার বাসিন্দা বৈশালী রায় সম্পর্কে তরুণ মজুমদারের খুড়তুতো বোন।
বৈশালী দেবী পরিচালকের মৃত্যুর খবর শুনে বলেন, মাথার ওপর বড় দাদা ছিলেন, চলে গেলেন। তিনি জানিয়েছেন, পরিবারের আসল পদবি খাসনবিশ। আদতে বর্তমান বাংলাদেশের বগুড়া জেলার আদি বাসিন্দা তাঁরা। মজুমদার তাঁদের পাওয়া পদবী। তরুণ মজুমদারের বাবা অর্থাৎ সম্পর্কে বৈশালী দেবীর জ্যাঠামশায় ধীরেন খাসনবিশ চলচ্চিত্র জগত নিয়ে খুব খুশি ছিলেন না। ছেলের কাজও পছন্দ ছিল না প্রথমটায়। ছবি পরিচালনার কাজ করার সময় থেকে তাই দাদা মজুমদার পদবী ব্যবহার করতে শুরু করেন বলে জানিয়েছেন বৈশালী দেবী।
তিনি আরও জানান, ছোড়দা অর্থাৎ তরুণ মজুমদারের ভাই অরুণ খাসনবিশ মেটেলি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তাঁদের অনেক জমিজমাও ছিল মেটেলিতে। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বৈশালী দেবী জানান, ফোনে যোগাযোগ ছিল দাদার সঙ্গে, তবে দেখা করা হয়ে উঠত না খুব একটা। পারিবারিক অনুষ্ঠানে আসতেন পরিচালক।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণ মজুমদারের স্কুলের পড়াশোনা বাংলাদেশের বগুড়া জেলায়। পরবর্তীতে কলকাতায় কলেজ পড়াশোনা। দেশভাগের সময় এ দেশে চলে আসে তাঁদের পরিবার। কলকাতা ও ডুয়ার্সে সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। তরুণ মজুমদারের স্মৃতিতে আজও অনেকে নষ্টালজিয়ায় আচ্ছন্ন। মাল সাধনা সিনেমা হলের মালিক দেবজ্যোতি ঘোষ জানান, ষাটের দশকে একবার তিনি ওই হলে এসেছিলেন। এভাবেই অনেক স্মৃতি রয়ে গিয়েছে।