Jalpaiguri: মূত্রথলি থেকে বেরোল আধ কিলো ওজনের পাথর, অপারেশন টেবিলে তাজ্জব চিকিৎসকরাও

Jalpaiguri: মূত্র ত্যাগ করতে গেলেই সমস্যা। রক্তপাত হত। আর সঙ্গে প্রচণ্ড যন্ত্রণা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার সেই যন্ত্রণার থেকে মুক্তি পেলেন জলপাইগুড়ির ওই ব্যক্তি।

Jalpaiguri: মূত্রথলি থেকে বেরোল আধ কিলো ওজনের পাথর, অপারেশন টেবিলে তাজ্জব চিকিৎসকরাও
জলপাইগুড়ি হাসপাতালে অপারেশন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2022 | 8:00 PM

জলপাইগুড়ি: ভাবুন কাণ্ড! মূত্রথলিতে ৫০০ গ্রাম ওজনের পাথর। শিলনোড়া আকৃতির পাথর। এমন বিশাল মাপের পাথর দেখে খানিক অবাক হয়েছেন চিকিৎসকরাও। রোগীর বয়স মাত্র ৩৯ বছর। গত সাত বছর ধরে এই পাথরের জন্য যন্ত্রণা ভোগ করে আসছিলেন তিনি। অসহ্য যন্ত্রণা নিয়েই কাটিয়ে গিয়েছেন সাত বছর। মূত্র ত্যাগ করতে গেলেই সমস্যা। রক্তপাত হত। আর সঙ্গে প্রচণ্ড যন্ত্রণা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার সেই যন্ত্রণার থেকে মুক্তি পেলেন জলপাইগুড়ির ওই ব্যক্তি। সমস্যা ছিল দীর্ঘদিনের। নিরাময়ের জন্য অনেক চেষ্টাও করেছেন এতদিন ধরে। বিগত প্রায় বছর দশেক ধরে একাধিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন তিনি। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের রোগী। আর্থিক অনটনের বিষয় তো রয়েছেই। তাই ভিন রাজ্যে গিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হলেও, টাকার অভাবে শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি। শেষ পর্যন্ত ওই রোগী দ্বারস্থ হন জলপাইগুডি় মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক সঞ্জীব কুমার রায়ের।

সমস্যা শুনেই আলট্রা সোনোগ্রাফি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। আলট্রা সোনোগ্রাফির রিপোর্টে ধরা পড়ে ওই ব্যক্তির মূত্র থলিতে পাথর রয়েছে। পাথর এত বড়, যে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ওই রোগীর অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে সেই অপারেশন। আর পাথরের আকার-আয়তন দেখে অপারেশন টেবিলেই একেবারে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় চিকিৎসকদের। দেখা যায়, প্রায় ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি শিলনোড়া আকৃতির পাথর মূত্রথলির দ্বার আটকে রেখেছে। সেই কারণেই মূত্রত্যাগ করার সময় যন্ত্রণা ও রক্তক্ষরণ হচ্ছিল ওই ব্যক্তির।

জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক সঞ্জীব কুমার রায় বলেন, “মূত্রথলিতে পাথর হয়। কিন্তু এত বড় আকারে পাথর সচরাচর দেখা যায় না। ফলে অপারেশনে ঝুঁকি ছিল। মেডিক্যাল টিম গঠন করে অপারেশন করা হয়। সকলের সহযোগিতায় সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে।” রোগী পুরোপুরি বিপদ মুক্ত বলেও জানান তিনি। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ চিকিৎসক কল্যাণ খানের কথায়, এটি একটি বিরল অপারেশন। মূত্রথলিতে এতো বড় আকারে পাথর এর আগে নজরে পড়েনি তাঁর। এই সফল অপারেশনের জন্য পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বছরের পর বছর ধরে যন্ত্রণায় ভুগতে থাকা ওই রোগীও অপারেশনের পর অত্যন্ত খুশি। তিনি বলেন, “বেসরকারি ব্যবস্থায় এই ব্যয়বহুল অপারেশনের খরচ বহন করার ক্ষমতা আমার ছিল না। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা যা করে দিলেন, তার জন্য চিরকৃতজ্ঞ আমি।”