Jalpaiguri: SMS দেখেই সন্দেহ, হাতেনাতে মিড ডে মিলের ‘দুর্নীতি’ ধরলেন সরকারি আধিকারিকরা

Jalpaiguri: রান্না হচ্ছে প্রয়োজনের থেকে বেশি মিড ডে মিল, সরকারি আধিকারিকরা আচমকা ঢুঁ মারতেই হাতেনাতে ধরা পড়ল ‘দুর্নীতি’।

Jalpaiguri: SMS দেখেই সন্দেহ, হাতেনাতে মিড ডে মিলের ‘দুর্নীতি’ ধরলেন সরকারি আধিকারিকরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 17, 2022 | 6:11 PM

জলপাইগুড়ি: কখনও নিম্নমানের খাবার, আবার কখনও মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) খাবার থেকে বিষক্রিয়া, রাজ্য তথা দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রায়শই এ ধরনের অভিযোগ শোনা যায়। এবার  মিড ডে মিলের দুর্নীতির ছবি সামনে এল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি রামমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে। সূত্রের খবর, এদিন এই স্কুল থেকে ৭৬৩ জনের মিড ডে মিল তৈরি করা হচ্ছে বলে একটি SMS আসে বিডিও অফিসে। কিন্তু স্কুল পরিদর্শনে গেলে হাজিরা খাতায় ৫২০ জন পড়ুয়ার উপস্থিতি দেখতে পান পরিদর্শক দল। ঘটনায় মিড ডে মিল সংক্রান্ত যাবতীয় নথি নিয়ে প্রধান শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট দফতরে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাগুড়ি আমগুড়ি রায়মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিট করতে যান ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়া, জয়েন্ট বিডিও মোহাম্মদ কাজী মবিন, স্কুল পরিদর্শক নবনীতা মুখার্জি সহ অন্যান্যরা। স্কুল চত্বরে প্রবেশ করেই তাঁরা প্রথমে যান মিড ডে মিল সেকশনে। কিন্তু, মিড ডে মিল সেকশনের দুরাবস্থা দেখে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁদের। দেখা যায় কাঠের উনুনে রান্না হচ্ছে মিড ডে মিল। রান্না করছেন যাঁরা তাঁদের গায়ে নেই অ্যাপ্রোন। এমনকী যেখানে খাবারের হিসাবনিকেশ রাখা হয় সেই মিড ডে মিলের বোর্ডেও নিয়মিতভাবে মেলানো হয় না। মহিলাদের শৌচাগারে নেই কোনও দরজা। এরপরই পড়ুয়াদের উপস্থিতি মেলাতে গিয়ে বড় গোলযোগ ধরা পড়়ে। 

দেখা যায় আজ স্কুল থেকে বিডিও অফিসে ৭৬৩ জনের উপস্থিত সংক্রান্ত SMS পাঠানো হয়েছে। কিন্তু স্কুলের অ্যাটেনডেন্স রেজিস্ট্রারে দেখা যায় ৫২০ জন উপস্থিত রয়েছে। এরপর মিড ডে মিল গুণমান খতিয়ে দেখতে সরকারি আধিকারিকরা নিজেরাই মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে দেখেন। এরপরই মিল সংক্রান্ত যাবতীয় নথি নিয়ে প্রধান শিক্ষককে বিডিও অফিসে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ঘটনায় স্কুল পরিদর্শক নবনীতা মুখার্জী বলেন, খাবারের গুণগত মান ঠিকঠাক থাকলেও মিড ডে মিলের কাগজে প্রচুর গাফিলতি রয়েছে। কোনও কাগজপত্র সঠিকভাবে মেইনটেইন করা হচ্ছে না। সমস্ত বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষককে সমস্ত নথি নিয়ে সাত দিনের মধ্যে বিডিও অফিসে দেখা করতে বলা হয়েছে। 

স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস চন্দ্র রায়ের কাছ থেকে মিড ডে মিল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আসলে আজ স্কুলে নবম, দশম শ্রেণীর পরীক্ষা হচ্ছে। তাই সবার উপস্থিতি এখোনও রেজিষ্টারে ওঠেনি। আমাদের স্কুলে স্টাফ কম। তাই সমস্ত কিছু মেইনটেইন করা খুব মুশকিল হচ্ছে।” কিন্তু, স্কুলে উপস্থিত পড়ুয়ার থেকে বেশি মিড ডে মিল কী করে রান্না হতে পারে? এই রান্না কী অন্যত্র সরানো হচ্ছে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নাগরিক মহলে।