Leopard Skin Trafficking: স্কুল ব্যাগ খুলতেই থমকে গেলেন বনকর্মীরা, ভিতর থেকে বেরোলো চিতাবাঘের চামড়া
Leopard Skin Trafficking in Jalpaiguri: নেপালে পাচারের আগে উদ্ধার চিতাবাঘের চামড়া। গ্রেফতার দুই পাচারকারী। ঘটনায় চাঞ্চল্য রাজগঞ্জে।
রাজগঞ্জ: সন্দেহ হয়েছিল আগেই। আর সেই সন্দেহ মতো তল্লাশি চালাতেই হদিশ মিলল বিরল প্রজাতির চিতাবাঘের চামড়ার। তবে পাচারের কায়দা দেখে প্রথমে কিছুটা ধন্দে পড়ে গিয়েছিল বনকর্মীরাও। কিন্তু তাঁদের অভিজ্ঞ চোখকে কি ফাঁকি দেওয়া এতই সহজ? অপরাধীদের ধরে রীতিমত তাদের পর্দা ফাঁস করল কর্মীরা।স্কুল ব্যাগে ভরে পাচার করা হচ্ছিলো চিতাবাঘের চামড়া। গোপন খবরে পর্দা ফাঁস করলো বেলাবোবা রেঞ্জের বনকর্মীরা। নেপালে পাচারের আগে উদ্ধার চিতাবাঘের চামড়া। গ্রেফতার দুই পাচারকারী। ঘটনায় চাঞ্চল্য রাজগঞ্জে।
প্রাণীর দেহাংশ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ফের বড়সড় সাফল্য পেলেন বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের বনকর্মীরা। বোলাকোবা রেঞ্জের সঞ্জয় দত্তের কাছে শনিবার সকাল আটটা নাগাদ গোপন সূত্র মারফত খবর আসে যে, দার্জিলিং থেকে তিনজন চিতাবাঘের চামড়া নিয়ে পাচারের উদ্দেশে নেপাল যাচ্ছে। খবর পেয়ে আর দেরী করেননি বনকর্মীরা। সোজা জলপাই মোড়ে পৌঁছায় তাদের একটি দল। এরপর শুরু হয় লাগাতার চেকিং। আর চেকিং শুরু করেন সঞ্জয় দত্ত নিজেও।
এরপর নির্দিষ্ট নম্বরের গাড়ি আসতেই আরও তৎপর হন তাঁরা। আর গোপনসূত্র মারফত গাড়ির নম্বর আগে থেকেই জানা ছিল ফলত কোনও অসুবিধা হয়নি তাঁদের। এরপর উক্ত সেই গাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি শুরু করে। তারপরই দেখা যায় গাড়িতে রয়েছে একটি স্কুল ব্যাগ। সেই ব্যাগটি খুলতেই অবাক হয়ে যান বনকর্মীরা। ব্যাগের মধ্যে দেখেন রয়েছে চিতাবাঘের চামড়া। উদ্ধার করা হয় সেই চামড়াগুলিকে। এরপরই গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে দু’জনকে নামানো হয়। ঠিক সেই সময় সুযোগ বুঝে অপর একজন গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর দু’জনকে গ্রেফতার করে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠান রেঞ্জ অফিসার। বন দফতর সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম শেরিং তামাং ও পাশাং লামা (তামাং)। এরা দার্জিলিং জেলার বাসিন্দা। চিতাবাঘের চামড়াটি পাচারের কারণে তারা রওনা দিয়েছিল। অপর অভিযুক্তের খোঁজেও শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।