PMAY: ‘ঘর পাইলাম না বাপ’! আবাস-তালিকায় নেই নাম, প্লাস্টিকে ঢাকা ঘরই থুড়থুড়ে বুড়োর ভরসা
Banarhat: সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের গয়েরকাটার বানারহাট রোড এলাকায় থাকে জ্যাঠা রাই। তাঁকে দেখাশোনার কেউ নেই। এক সময় শ্রমিকের কাজ করতেন।
জলপাইগুড়ি: একজনও যাতে মাথার উপরের ছাদ থেকে বঞ্চিত না হন তার জন্য সরকারের আবাস যোজনা (PMAY) রয়েছে। অথচ সেই আবাস যোজনায় পাকাবাড়ির উপভোক্তা পর্যন্ত ঘর পেয়ে যাচ্ছেন। এদিকে যার সত্যিই একটা পাকা ঘর দরকার, তার বরাতে জুটছে শূন্য। বানারহাট ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রামপঞ্চায়েতের বানারহাট রোড এলাকার বাসিন্দা জ্যাঠা রাই বা নেপালিবস্তি এলাকার বাসিন্দা মনমায়া কুমাল। দু’জনই দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী। সরকারি ঘর পাওয়ার সমস্তরকম যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ঘর পাননি তাঁরা। সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের গয়েরকাটার বানারহাট রোড এলাকায় থাকে জ্যাঠা রাই। তাঁকে দেখাশোনার কেউ নেই। এক সময় শ্রমিকের কাজ করতেন। এখন বয়সের কারণে আর কাজ করতে পারেন না। এলাকার এক দোকানি তাঁর খাবারের ভার নিয়েছেন। তবে জ্যাঠার ঘরটি কাঠের তক্তা, গাছের ডাল বেঁধে কোনরকমে তৈরি।
এই কনকনে ঠান্ডায় প্লাস্টিকের ছাদযুক্ত এই ঘরে রাত কাটাচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার যে তালিকা, সেখানে নাম নেই জ্যাঠা রাইয়ের। জ্যাঠা রাই বলছেন, “ঘর পাইলাম না বাপ। বেঁচে থাকতে আর পাব কি না তাও জানি না।” নেপালিবস্তি এলাকার মনমায়া কুমালও বহুদিন আগে স্বামীকে হারিয়েছেন। মাটির যে ঘরটি ছিল, নদীভাঙনের কবলে তাও হারিয়ে গিয়েছে। এখন গোয়ালঘরে থাকেন তিনি।
বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীমা চৌধুরী বলেন, “জ্যাঠা রাইয়ের খবরটা আমার কাছে ছিল না। তবে এলাকার ঘরের তালিকা তো গ্রামপঞ্চায়েতের তরফে হয়ে থাকে। আমাদের পঞ্চায়েত সমিতি নতুন। আমাদের হাতে কিছু নেই। তবে আমরা চেষ্টা করব গরিব সকলে যেন ঘর পান। আমি নিজে যাব। বিডিও, জেলাশাসক যদি মনে করেন সহযোগিতা করা যায়, করবেন।”
তবে গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান বিনোদ ওরাওঁ বলেন, “২০১৮ সালে এই সার্ভের কাজ হয়েছে। সে সময় আমরা ছিলাম না। অন্য পঞ্চায়েত ছিল, তারাই সার্ভে করে। নেপালিবস্তি নিয়ে বিডিও সার্ভের ব্যবস্থা করেছিলেন। আমরা গিয়েছিলাম। তবে ঘর দেওয়ার ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে পারব না। বিডিওর নির্দেশে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা সার্ভে করছেন। আমরা তো কিছু করছি না।”