Jalpaiguri Circuit Bench: বহু কাঠখড় পুড়িয়ে সন্তানদের ফিরে পেলেন মা, আদালত চত্বরেই ভাসলেন চোখের জলে
Siliguri: শিলিগুড়ির ওই বাসিন্দা গীতা শর্মাকে গত ৩০ মার্চ গ্রেফতার করা হয়। মূলত ওই মহিলার দাম্পত্য বিবাদ চলছিল বলে আদালত সূত্রে খবর।
জলপাইগুড়ি: পারিবারিক অশান্তি চরমে উঠেছিল। সেই ঝামেলার পর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় বাড়ির বৌকে। চারদিন জেল হেফাজতে থাকতে হয় শিলিগুড়ির ওই মহিলাকে। এদিকে তাঁর দুই সন্তান একেবারেই ছোট বলে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেয় পুলিশ। অভিযোগ, এরপর ওই মহিলা থানা থেকে ছাড়া পেলেও সন্তানদের কিছুতেই ফিরে পাচ্ছিলেন না। দ্বারস্থ হন আদালতের। অবশেষে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের নির্দেশে সন্তানদের ফিরে পেলেন মা।
শিলিগুড়ির ওই বাসিন্দা গীতা শর্মাকে গত ৩০ মার্চ গ্রেফতার করা হয়। মূলত ওই মহিলার দাম্পত্য বিবাদ চলছিল বলে আদালত সূত্রে খবর। ঘটনার দিন স্বামী অনির্বাণ চক্রবর্তীর সঙ্গে গীতার ঝামেলা যখন চরমে, অভিযোগ, সে সময় ফ্ল্যাটের নিরাপত্তারক্ষী এসে গীতাকে খারাপ কথা বলেন। এ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে ওঠে। এরপরই ওই রক্ষী থানায় যান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় গীতাকে।
এরপরই গীতা-অনির্বাণের এক ছেলে ও এক মেয়েকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেয় প্রধাননগর থানার পুলিশ। কিন্তু যেহেতু দুই শিশুর সঙ্গে অপরাধমূলক কোনও ঘটনার কোনও যোগ নেই, তাই পরবর্তীকালে জলপাইগুড়ি জুভেনাইল হোমে পাঠিয়ে দেয়। এরপর পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেলেও সন্তানদের কিছুতেই ফিরে পাচ্ছিলেন না গীতা। তারপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। গীতার অভিযোগ ছিল, অন্যায়ভাবে তাঁর সন্তানদের আটকে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ নির্দেশ দেন দুই বাচ্চাকে তাদের মায়ের হাতে তুলে দেওয়ার। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রবিকিসান কাপুরের সিঙ্গেল বেঞ্চ চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে নির্দেশ দেয় গীতা শর্মার দুই সন্তানকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। গীতা শর্মা বলেন, “আমি বাচ্চাকে ফেরত পেয়ে খুবই খুশি। সকলেই জানেন কতটা অন্যায়ভাবে আমার বাচ্চাকে রাখা হয়েছিল।” অন্যদিকে গীতার স্বামী অনির্বাণ চক্রবর্তীর বক্তব্য, “আমার সন্তান আমার কাছে ফিরে আসবেই। আদালত মন্দির। এক ভগবানের কাছে আবেদন করে ব্যর্থ হয়েছি। এরপর অন্য ভগবানের দরবারে যাব।”
গীতার আইনজীবী বিবেকজ্যোতি বসু বলেন, “বাচ্চাদের মায়ের কাছে দেওয়া হচ্ছিল না। আদালতকে জানানো হয়। আদালতের নির্দেশে মায়ের হাতে সন্তানকে তুলে দেওয়া হল। কাজের সূত্রে উনি নেপাল, সিকিমে যান। আগামী ছ’মাস অন্তত ব্যবসার কাজে গেলে প্রধাননগর থানায় জানিয়ে যেতে হবে। যাবেন উনি, তাতে কোনও সমস্যা তো নেই।”
আরও পড়ুন: 19,867.8 MHz স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ করে ভারতীয়দের জন্য 5G বিপ্লব ঘটাতে চলেছে এয়ারটেল