Jalpesh Death: ‘মরণফাঁদ’ ডিজে নিয়ে যাওয়া যাবে না জল্পেশে, ১০ জনের মৃত্যুতে এবার কঠোর প্রশাসন

Jalpaiguri News: শ্রাবণ মাসে একেই বৃষ্টি। তার উপর ছোট ট্রাকগুলিতে পুণ্যার্থীরা বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, জেনারেটর, মিউজিক বক্স নিয়ে যান। ফলে বড় বিপদের একটা ঝুঁকি থেকেই যায়।

Jalpesh Death: 'মরণফাঁদ' ডিজে নিয়ে যাওয়া যাবে না জল্পেশে, ১০ জনের মৃত্যুতে এবার কঠোর প্রশাসন
ডিজে নিয়ে কড়াকড়ি। নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2022 | 7:13 AM

জলপাইগুড়ি: রবিবার রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নেয় ১০ পুণ্যার্থীর। জল্পেশের শিবমন্দিরে যাওয়ার পথে চ্যাংরাবান্ধায় গাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তাঁরা। জানা যায়, ডিজে বাজিয়ে জেনারেটর নিয়ে ছুটছিল পুণ্যার্থীবোঝাই সেই গাড়ি। শর্ট সার্কিটে ঘটে যায় ভয়ঙ্কর ঘটনা। এই ঘটনার পরই জল্পেশ মন্দিরে ডিজে নিয়ে আসা নিষিদ্ধ করা হল। সোমবার জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনায় আহতদের দেখতে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান। সেখানেই তিনি জানান, “শ্রাবণ মাসে আরও দু’ সপ্তাহ বাকি। আমরা সব ট্র্যাফিক ও থানাকে নির্দেশ দিয়েছি ডিজের উপর নজর রাখতে। ডিজে ব্যবহার করতে পারবেন না। ডিজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হয়।”

শ্রাবণ মাসে একেই বৃষ্টি। তার উপর ছোট ট্রাকগুলিতে পুণ্যার্থীরা বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, জেনারেটর, মিউজিক বক্স নিয়ে যান। ফলে বড় বিপদের একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। রবিবার রাতে চ্যাড়াবান্ধার ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। এরপরই পুলিশের পাশাপাশি ময়দানে নেমেছেন পরিবেশকর্মীরাও। পুণ্যার্থীদের মধ্যে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন তাঁরা।

ডিজে পরিবেশের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর এবং এর জেরে কতটা শব্দদূষণের মাত্রা বাড়ছে, অন্যান্য কী ক্ষতি এই ডিজের কারণে, সেসব বোঝাতেই রাস্তায় নেমেছেন ময়নাগুড়ি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। সোমবার বিকেলে একটি দলকে প্রচার করতে দেখা যায়।

ময়নাগুড়ি রোড এলাকার এক ব্যবসায়ী কমল সরকার বলেন, “শ্রাবণী মেলা আসলে আমাদের আতঙ্ক শুরু হয়। ডিজের আওয়াজে রাতে এক ফোটা ঘুমোতে পারি না। দোকানে খরিদ্দাররা আসলে ঠিক করে কথা পর্যন্ত বলতে পারি না। দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যাই। তাতেও নিস্তার নেই।”

ময়নাগুড়ি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের তরফে অমল রায় বলেন, “আগে থেকেই ডিজে বাজানো নিয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর থেকে প্রচণ্ড শব্দদূষণ হয়। তবুও এক শ্রেণির মানুষ এর তোয়াক্কা করেন না। ১০টা তরতাজা ছেলের প্রাণ চলে গেল। এ দৃশ্য চোখের উপর দেখা যায় না। তাই আমরা দল বেঁধে মানুষকে সচেতন করতে নেমেছি। যাতে তাঁরা এই শব্দদানব ডিজে আর ব্যবহার না করেন।”