Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘টিপস’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, মন্ত্রমুগ্ধের মতো আইনজীবীরা শুনলেন সেসব কথা…

Jalpaiguri: ১ অগস্ট সোমবার থেকে জলপাইগুড়িতে ফের চালু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। এবারের সার্কিট বেঞ্চের গুরুত্বই আলাদা সেখানকার আইনজীবীদের কাছে।

Justice Abhijit Gangopadhyay: 'টিপস' বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, মন্ত্রমুগ্ধের মতো আইনজীবীরা শুনলেন সেসব কথা...
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2022 | 12:14 PM

জলপাইগুড়ি: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তিনি। এখন তো সকলেই এক নামে তাঁকে চেনেন। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় তাঁর একের পর এক নির্দেশ দুর্নীতির শিকড়ে গিয়ে টান মেরেছে। তিনি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যিনি ভরা কোর্টরুমে এক মামলার শুনানি চলাকালীন বলেছিলেন, “আমি দুর্নীতি দেখলে রুখে দাঁড়াব। তাতে আমার মাথায় বন্দুক ঠেকালেও আমি থামব না।” সেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সামনে থেকে পেয়ে সোমবার আলাদাই ভাল লাগা ধরা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের আইনজীবীদের মধ্যে। সেখানে আইনি বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিলেন তিনি। আর তা কান পেতে শুনলেন উপস্থিত আইনজীবীরা।

১ অগস্ট সোমবার থেকে জলপাইগুড়িতে ফের চালু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। এবারের সার্কিট বেঞ্চের গুরুত্বই আলাদা সেখানকার আইনজীবীদের কাছে। কারণ, এবার সেখানে অন্যান্য বিচারপতিদের সঙ্গে থাকছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সেখানে যোগ দেবেন বলে রবিবারই তিনি জলপাইগুড়ি এসে পৌঁছন। সোমবার সার্কিট বেঞ্চের শুনানি শেষ করে তিনি চলে আসেন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে যান। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এদিন। এরপরই নানা বিষয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ দেন তিনি।

জুনিয়র আইনজীবীদের এগিয়ে দিতে বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীদের অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শ, “যেমন কে রিট করতে পারে, কার বিরুদ্ধে রিট হয়। জুরিসডিকশনটা কী। এইগুলো সব আদালতেই চলে। সাহস করে যাতে হাইকোর্টে আরগু করতে পারেন, সেগুলো আপনারা শিখিয়ে দিতে পারবেন। আমি একজনকে যেমন বললাম, সিনিয়র জুনিয়র শুনব না। তোমাকেই বলতে হবে। একটা নোট লিখে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমি বললাম এতে হবে না, তুমি যা জান, তা তোমাকে কনফিডেন্টলি বলতে হবে। খুব ভাল বলেছে। আমি খুব আনন্দিত হয়েছি। ও তৈরিই ছিল, শুধু আত্মবিশ্বাসটা ছিল না। এটাই জুগিয়ে দিতে হবে।”

জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপুল রায় বলেন, “আমাদের সঙ্গে অনেকক্ষণ বসলেন বিচারপতি। আমরা সমস্ত আইনজীবীরা ছিলাম। উনি আমাদের কিছু টিপস দিলেন। ওনার এই পরামর্শ পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের বার অ্যাসোসিয়েশনে প্রায় আধ ঘণ্টা ছিলেন। তারপর কোর্ট চত্বরে যান। ওনার কথাগুলোয় আমাদের সকলের, বিশেষ করে জুনিয়র আইনজীবী যাঁরা আছেন, খুবই উপকৃত হবেন।” সূত্রের খবর, এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বারবারই বলেন, সকলে যেন হাইকোর্টের মামলাগুলিতে বেশি করে অংশ নেন। আইনসংক্রান্ত পড়াশোনাও বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।