North Bengal Weather: ফুঁসতে শুরু করেছে তিস্তা, জলঢাকা, বর্ষা এলেই দুঃখ বাড়ে নদীর পাড়ের মানুষের
Teesta River: তিস্তাপাড়ের মরিচবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা জানান, ১৫ তারিখের পর থেকেই বিপদসীমার উপরে বইছে তিস্তা। ফলে দিনরাত আতঙ্কে কাটছে।
জলপাইগুড়ি: দক্ষিণবঙ্গে এখনও পুরোদমে বর্ষা না এলেও প্রবল বর্ষণে জলভাসি উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। নদীগুলির জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। তোর্সার পর এবার তিস্তা, জলঢাকায় জারি হল হলুদ সতর্কতা। শনিবার সকালেই তিস্তা ব্যারাজ থেকে ১৯১৪ কিউমেক জল নতুন করে ছাড়া হয়েছে। একাধিক জায়গায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তার জল। তাই হলুদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রে খবর। জলপাইগুড়ি সেচ দফতরের কনট্রোল রুম দিনভর সজাগ। রাতদিন পরিস্থিতির উপর চলছে নজরদারি।
তিস্তাপাড়ের মরিচবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা জানান, ১৫ তারিখের পর থেকেই বিপদসীমার উপরে বইছে তিস্তা। ফলে দিনরাত আতঙ্কে কাটছে। এমনিতেই নদীর পাড়ে বাস, তাই দুঃখও বারোমাস। কিন্তু বর্ষা এলে সে দুঃখ দুর্দশার চিত্রটা আরও প্রকট হয়। এলাকার লোকজন জানান, ইতিমধ্যেই চাষের জমিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। নদীপাড়ে জল ঢুকে যাওয়ায় তাঁদের বাদাম চাষের জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মাথায় হাত কৃষকদের।
গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ (মিলিমিটারে)
১) জলপাইগুড়ি- ৭২.৯০
২) আলিপুরদুয়ার – ১০২.৪০
৩) কোচবিহার – ৫২.২০
৪) শিলিগুড়ি -৯০.০০
৫) মাল-২৮.৫০
৬) হাসিমারা-২৩১.০০
৭) বানারহাট – ৮৬.০০
৮) মাথাভাঙা – ৬৭.২০
৯) তুফানগঞ্জ – ১২.২০
১০) ময়নাগুড়ি -১২৫.০০
তিস্তা ব্রিজ মরিচবাড়ির বাসিন্দা লিপিকা ব্যাপারী বলেন, “জল বাড়ছে, ভয়ও বাড়ছে। একদিন থেকে আরেক দিন জল অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। একে তো বৃষ্টির জল। তার উপর আবার পাহাড় থেকেও জল নামছে। বর্ষা এলে সবসময়ই একটা চিন্তা কাজ করে। নদী এই সময় একেবারে ফুঁসতে শুরু করে। কখন যে কী বিপদ ঘটে যায়।”
কৃষিকাজ করেন এলাকার মিন্টু দাস। তিনি বলেন, “আমাদের কৃষির খুব ক্ষতি হয়ে যায় এই নদীতে জল বাড়লে। ক্ষেতের পর ক্ষেতে বাদাম, ভুট্টা নষ্ট হয়ে যায়। আমরা আসলে একেবারেই নদীর পাড়ে থাকি। এর আগে যখন জল বেড়েছিল, আমাদের ঘর ছেড়ে রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াতে হয়েছিল। বউ বাচ্চা নিয়ে এই দুর্যোগের মোকাবিলা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। সকলের মধ্যেই সেই ভয়টা কাজ করে।”