Jhargram Awas: আবাসের টাকা ঢুকেছে তৃণমূল কর্মীর অ্যাকাউন্টে, সরকারি দফতরে সস্ত্রীক সংসার পাতলেন উপভোক্তা!

Jhargram Awas: এই অবস্থাতেই কাজ থমকে। তাই এবার অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ। গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ের বারান্দায় সংসার পাতলেন প্রতারিত ব্যক্তি।

Jhargram Awas: আবাসের টাকা ঢুকেছে তৃণমূল কর্মীর অ্যাকাউন্টে, সরকারি দফতরে সস্ত্রীক সংসার পাতলেন উপভোক্তা!
গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে রান্নাবান্না
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2023 | 3:26 PM

ঝাড়গ্রাম: তালিকায় নাম রয়েছে। কিন্তু বাড়ি বানানোর টাকা ঢুকেছে তৃণমূল কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। অভিযোগ তেমনই। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় উপভোক্তাকে। প্রধানকে ধরে টাকা পান, তবে অর্ধেক। অতঃপর বাড়িও তৈরি হয়েছে অর্ধেক। ছাদহীন বাড়িতে চারটে দেওয়ার গাঁথা। এই অবস্থাতেই কাজ থমকে। তাই এবার অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ। গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ের বারান্দায় সংসার পাতলেন প্রতারিত ব্যক্তি। অভিনব প্রতিবাদ গ্রাম জুড়ে সাড়া ফেলেছে। ঘটনাটি ঝাড়গ্রামের শিলদা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিলদা হাটতলা এলাকায়।

জানা গিয়েছে, শিলদা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিলদা হাটতলার বাসিন্দা মনিকাঞ্জন দত্ত ও তার স্ত্রী মিনতি দত্ত। তাঁর দাবি, আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকায় তাঁর নাম ছিল। কিন্তু তিনি বাড়ির টাকা পাননি। অভিযোগ, তাঁর টাকা ঢুকেছে তৃণমূল কর্মী পঞ্চানন দত্তের অ্যাকাউন্টে।

বিষয়টি তিনি জানতে পেরে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বারবার। প্রধানকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়। প্রশাসন পঞ্চাননের কাছ থেকে ৫৭ হাজার টাকা পাইয়েও দেন। বাকি টাকা তিনি এখনও পাননি। অভিযোগ, সেই টাকা এখনও পঞ্চাননের অ্যাকাউন্টেই রয়েছে। এদিকে মনিকাঞ্জনের বাড়ি পুরোপুরি কমপ্লিট না হওয়ায় বাড়ির ছাদ তৈরি হয়নি। কাজ থমকেছে মাঝ পথেই।

ছাদহীন চার দেওয়ালের মাঝে তিনি অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছিলেন। তারই প্রতিবাদ জানাতে তিনি অঞ্চল অফিসে গিয়ে সংসার পাতেন। যদিও প্রশাসনের আশ্বাসে শেষ পর্যন্ত তিনি বাড়ি ফিরে যান। পুরো বিষয়টি গুরুত্ব সহকার দেখা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়। যার ফলে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিলদা গ্রামপাঞ্চায়েত কার্যালয় চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

প্রতারিত ব্যক্তি বলেন, “সমস্যার এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। প্রধান শুধু বলছে দেখছি। আমি এখন এখানেই থাকব বলে ঠিক করেছি। আমি মে মাস থেকে আসা যাওয়া করছি। কিন্ত ফয়সালা হচ্ছে না।”

উপভোক্তার স্ত্রী বলেন,”আমি প্রথমেই বলেছিলাম ঘর ভাঙব না। কিন্তু প্রধান আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন। বলেছিলেন, এক কিস্তির টাকা পেয়েছো. ঘর তৈরি কর। তারপর আর টাকা পেলাম না। এদিকে ঘরের কাজও শেষ হল না। প্রধান শিপ্রা বেজ বলেন, “সমস্যা হয়েছে। সবাই মিলে একটা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খোঁজখবর নিচ্ছি। কথা বলছি অনেকের সঙ্গে।” গ্রামের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি কমল শিট বলেন, “আমার এ বিষয়ে কিছু জানা নেই। যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকেন, ভুল স্বীকার করে টাকা ফেরত দিয়ে দিন।”