Leopard in Jhargram: চিড়িয়াখানা থেকে পগার পার চিতাবাঘ! দরজায় খিল এঁটেছে গোটা শহর

Jhargram: ঝাড়গ্রামের মিনি চিড়িয়াখানা থেকে বৃহস্পতিবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে যায় পূর্ণবয়স্ক চিতাটি। খবর জানাজানি হতেই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ঝাড়গ্রাম শহর জুড়ে।

Leopard  in Jhargram: চিড়িয়াখানা থেকে পগার পার চিতাবাঘ! দরজায় খিল এঁটেছে গোটা শহর
পলাতক চিতাবাঘ, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2021 | 9:30 PM

ঝাড়গ্রাম: কথায় বলে, ‘যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধে হয়।’  চলতি প্রবাদ যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল। কেউ জানতে পারেননি। বুঝতেও পারেননি। অন্ধকারে আচমকা চিড়িয়াখানার খাঁচা ভেঙে পালাল একটি পূর্ণ বয়স্ক চিতা বাঘ (Leopard)। পুজোর আগে এমন ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঝাড়গ্রামের। এখনও পর্যন্ত চিতাবাঘটির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রামের মিনি চিড়িয়াখানা থেকে বৃহস্পতিবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে যায় পূর্ণবয়স্ক চিতাটি। খবর জানাজানি হতেই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ঝাড়গ্রাম শহর জুড়ে। পুজোর ঠিক হাতে গোনা তিনদিন বাকি। তার আগে এভাবে চিতাবাঘের আতঙ্কে কার্যত চক্ষুচড়কগাছ এলাকাবাসীর। পুজোর বাজারের জন্য রাস্তায় ভিড়। তারইমধ্যে বাঘের ভয়ে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। কোনওরকমে ঘরে ফিরতে পারলে বেঁচে যান মানুষ। বাঘটিকে খুঁজতে ইতিমধ্যেই বনদফতরের কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছেন।

ঝাড়গ্রাম বনদফতর সূত্রে খবর, মিনি চিড়িয়াখানা অর্থাত্‍ , ওই ডিয়ার পার্কে চিতাবাঘটির খাঁচার চারিদিকে সিসিক্যামেররা লাগানো রয়েছে। তারপরেও কী করে চিতাটি পালিয়ে গেল তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না বনকর্মীরা। চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা রক্ষীও কিছু বলতে পারছেন না। তবে, গোটা এলাকা জুড়ে ইতিমধ্যেই মাইকিং করা শুরু করেছে বনদফতর। চিতাবাঘটিকে কোথাও দেখা গেলে যেন সত্ত্বর যোগাযোগ করা হয়  বনদফতরে তা জানিয়েও চলছে মাইকিং। এলাকাবাসীকে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

চিফ ওয়াইল্ডরাইফ ওয়ার্ডেন দেবল রায় TV9 বাংলাকে বলেন, “আমাদের তরফ থেকে সবরকমভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে বাঘের খাঁচাটিতে কোনও একটি সমস্যা হয়েছিল। সেখান থেকেই পালিয়েছে চিতাটি। চিড়িয়াখানার কাছেই শাল জঙ্গল। সেখানেই পালাতে পারে বাঘটি বলে আশঙ্কা। আমাদের কর্মীরা স্লিপিং রাইফেল নিয়ে টহল দিচ্ছে। মূলত পায়ের ছাপ ধরেও খোঁজ করা হয়ে থাকে।”

ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে খবরটি পেয়েছি। তবে বাঘটি কী ভাবে খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে পড়ল, তা নিয়ে এখনও বিস্তারিত কোনও খবর পাইনি।” পাশাপাশি, পুরসভার পক্ষ থেকেও সতর্ক করা হচ্ছে।

যদিও, চিড়িয়াখানা থেকে বাঘ পালিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে বনদফতরের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। কী করে সিসিটিভি ক্যামেরার নজর এড়িয়ে পালিয়ে গেল বাঘটি? কী করেই বা কোনও সদুত্তর দিতে পারছেন না বনকর্মীরা? গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, চিতাবাঘ পালানোর ঘটনায় কোনও বিশেষ পদক্ষেপ করেনি  বনদফতর। কেবল মাইকিং করেই দায় সারছে। বাঘটিকে খোঁজার কোনও চেষ্টাও করা হচ্ছে না। যার ফলে চরম আতঙ্কে রয়েছেন ডিয়ার পার্ক সংলগ্ন এলাকার দোকানদাররা থেকে শুরু করে দক্ষিণ সোল , বীরভানপুর , কাঞ্চননগর-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। পাশেই রয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ লাইন ,সেখানেও তীব্র আতঙ্ক।

আরও পড়ুন: Malda Murder Case: টানটান ৪ ঘণ্টা! শতদিন পেরিয়ে অবশেষে জেলা আদালতে প্রথম শুনানি হাড়হিম হত্যাকাণ্ডের