Leopard: চোরাশিকারিদের ফাঁদে পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ, বনকর্মীদের তৎপরতায় ঘুমপাড়ানি গুলি করে উদ্ধার
বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি করে চিতা বাঘটিকে কাবু করে ফাঁদ থেকে মুক্ত করে এবং খাঁচা বন্দি করে নিয়ে যায় দক্ষিণ খয়েরবাড়ি বাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে।
ধূপগুড়ি: চোরাশিকারিদের পাতা ফাঁদে আটকে পড়ল একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ। শনিবার সকালে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হলদিবাড়ি চা বাগানে। তারপর সকাল থেকে দফায়-দফায় বনকর্মীদের চেষ্টায় ও ট্যাঙ্কুলাইজার টিমের সাহায্যে অবশেষে ঘুমপাড়ানি গুলি করে ফাঁদে আটকে পড়া চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করলেন বনকর্মীরা।
জানা গিয়েছে, হলদিবাড়ি চা বাগান এবং ডুয়ার্সের মরাঘাট জঙ্গলের মাঝে পাতা হয়েছিল বন্যপ্রাণী ধরার ফাঁদ। মূলত চোরা শিকারিরা বন শূয়োর, খরগোশ এবং চিতাবাঘ শিকারের জন্য এই ফাঁদ পাতে। শুক্রবার রাতে ডুয়ার্সের মরাঘাট রেঞ্জের অন্তর্গত সাউথ-মরা ঘাট ১২ নম্বর কম্পার্টমেন্টে সেরকমই একটি পাতা ফাঁদে আটকে পড়েছিল পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘটি। এদিন সকালে হলদিবাড়ির চা বাগানের শ্রমিকরা সেই বাগানের পাশে থাকা ঝোপের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার সময় চিতাবাঘের গর্জন শুনতে পান। চিতাবাঘের গর্জনে প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন চা বাগানের শ্রমিকরা। পরে দূর থেকে তাঁরা দেখতে পান, একটি চিতাবাঘ পায়ে ফাঁদ লাগা অবস্থায় ছটফট করছে। চোরাশিকারিদের পাতা ফাঁদেই যে চিতাবাঘটি পা দিয়েছে, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয়নি চা শ্রমিকদের। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরাই চা বাগান কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটির কথা জানান এবং বাগানের তরফেই বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডে খবর দেওয়া হয়।
এরপর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মরাঘাট রেঞ্জ এবং বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়ারের বনকর্মীরা। তারপর তাঁরা দুপুর থেকে চিতাবাঘটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেও সফল হননি। এরপর জলপাইগুড়ি থেকে ডেকে আনা হয় ট্যাঙ্কুলাইজার টিম। জলপাইগুড়ি থেকে ট্যাঙ্কুলাইজার টিম দুপুর আড়াইটা নাগাদ পৌঁছায় হলদিবাড়ি চা বাগানে। এরপর ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করা হয় চিতাবাঘটিকে।
এদিকে, চোরাশিকারিদের ফাঁদে চিতা বাঘ আটকে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার কৌতূহলী বাসিন্দারা সেখানে ভিড় জমান। তারপর বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি করে চিতাবাঘটিকে কাবু করে ফাঁদ থেকে মুক্ত করে এবং খাঁচা বন্দি করে নিয়ে যায় দক্ষিণ খয়েরবাড়ি বাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ খয়েরবাড়ি বাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিতাবাঘটির প্রাথমিক চিকিৎসা করা হবে। তারপর চিতাবাঘটি সুস্থ হলেই সেটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে, নাকি পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হবে তার সিদ্ধান্ত নেবেন বনাধিকারিকেরা।