Malda: উদ্বোধনের একদিনের মাথায় হুড়মুড়িয়ে ভাঙল জলাধার, ISF প্রধান কাটমানি খেয়েছে, বলছে তৃণমূল
Malda: নওয়াদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত আবার রয়েছে আইএসএফের দখলে। প্রধানের দায়িত্বেও রয়েছেন আইএসএফ নেতা। জলাধার ভেঙে পড়তেই ক্ষোভে ফুঁসছে তৃণমূল। চাপানউতর জেলার রাজনৈতিক মহলে।
মালদহ: একদিন আগেই উদ্বোধন। পরের দিনই ভেঙে পড়ল জলাধার। শোরগোল কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের নওয়াদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর দারিয়াপুরের মোমিনপাড়া এলাকায়। সূত্রের খবর, প্রায় ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছিল জলাধারটি। একদিন আগেই হয়েছিল উদ্বোধন। কিন্তু, তারপর একদিন যেতে না যেতেই ভেঙে পড়ল নিচের তলা। তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জলাধার তৈরির কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার ফলেই এই অবস্থা।
নওয়াদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত আবার রয়েছে আইএসএফের দখলে। প্রধানের দায়িত্বেও রয়েছেন আইএসএফ নেতা। জলাধার ভেঙে পড়তেই ক্ষোভে ফুঁসছে তৃণমূল। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী তথা অঞ্চল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মাসুদ আলাম বলছেন, প্রধান তো ঠিকাদারের থেকে বড় অঙ্কের কাটমানির টাকা নিচ্ছে। সে কারণেই এই অবস্থা। একই সুর আরও এক পঞ্চায়েত সদস্য কুরবানি মমিন বলেন, আইএসএফ প্রধান ও ঠিকাদার মিলেই দূর্নীতি করেছে। সরকারের টাকা লুটেছে। ১৮ এমএম রডের জায়গায় ১০ এমএম রোড দিয়ে কাজ হয়েছে। যা হওয়ার তাই হয়েছে, ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়েছে।
নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একজিকিউটিভ অফিসার অমিত কিস্কু বলেন, আমরা রাতে খবর পেয়েছি। ট্যাঙ্কের নিচের তলা ভেঙে পড়েছে। সকালেই আমরা গিয়েছিলাম। দেখে এসেছি। আমরা বিষয়টা তদন্ত করে দেখব। যদিও ঠিকাদারের দোষ খুঁজে পাই তাহলে ওর লাইসেন্স ব্ল্যাক লিস্ট করব। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হবে।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আইএসএফের পঞ্চায়েত প্রধান আবু জাহেদ। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই পঞ্চায়েতে তো আমরা আর কংগ্রেস মিলে বোর্ড তৈরি করেছি। আমরা ৪ জন, কংগ্রেসের ১২ জন। আমরা ট্যাঙ্ক ভাঙার তদন্ত চাই। কী করে ভাঙল সেটা দেখতে হবে। তবে কার গাফিলতি আমি এখন বলতে পারছি না। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে শুনেছি। কাটমানি নিয়ে আমার বিরুদ্ধে কলঙ্ক রটাচ্ছে ওরা। আমি পার্টির সঙ্গে মিটিংয়ে বসেছি। তারপরই এ নিয়ে কথা বলব।