Abhishek Banerjee: প্রয়োজনে সরিয়ে দেওয়া হবে, ‘কোন্দল’ নিয়ে বড় বার্তা দিয়ে এলেন অভিষেক
Abhishek Banerjee: ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির লিড ছিল ৯০ হাজার। শুধু তাই নয় গাজোল, হবিবপুর ইত্যাদি ব্লকেও নজরকাড়া ভোট পেয়েছিল বিজেপি। আবার পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, পুরসভার ভোটের পর সবটাই চলে যায় তৃণমূলের দখলে। এমনটা কীভাবে হয়? সেই প্রশ্নই তুলেছেন অভিষেক।
মালদহ: ভোটের সময় অন্তর্ঘাত বা দলে গোষ্ঠীকোন্দল! এসবের জেরে যদি ভোটে কোনও প্রভাব পড়ে, ছেড়ে দেবে না দল। নিজেদের মধ্যে দলাদলিতে বিরোধীদের জমি শক্ত করতে দেওয়া যাবে না। এই বার্তা একেবারে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শুক্রবার মালদহে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখানেই দলীয় কোন্দল নিয়ে বার্তা দিয়েছেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা, দলের ব্লক সভাপতিরা। ছিলেন দুই পুরসভার চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও কয়েকজন কাউন্সিলর।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির লিড ছিল ৯০ হাজার। শুধু তাই নয় গাজোল, হবিবপুর ইত্যাদি ব্লকেও নজরকাড়া ভোট পেয়েছিল বিজেপি। আবার পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, পুরসভার ভোটের পর সবটাই চলে যায় তৃণমূলের দখলে। এমনটা কীভাবে হয়? সেই প্রশ্নই তুলেছেন অভিষেক। প্রশ্ন উঠেছে, অন্তর্ঘাত কারা কীভাবে করছে?
দলীয় সূত্রে খবর, এবার লোকসভা নির্বাচনে যে এমনটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না, সেটা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এরকম কিছু দেখা গেলে, পরবর্তীতে সেই সব এলাকায় নির্দিষ্ট পদে থাকা তৃণমূল নেতাদের অপসারণ করে দেওয়া হবে। মালদহের তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, নেতারা এই বার্তা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
উল্লেখ্য, শুধুমাত্র মালদহে নয়, রাজ্যের সব কেন্দ্রে গিয়েই বৈঠক সারছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারেও বৈঠক সেরে এসেছেন তিনি। নেতাদের বুঝিয়ে দিয়ে এসেছেন, কোথায় কত ভোটের লক্ষ্যমাত্রা রাখতে হবে।