Malda: ভাসছে গোটা এলাকা, দরকার ছিল শুধু একটা নৌকার! কিন্তু আর দেখা হল না পৃথিবীর আলো…
Malda: শেষ পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর একটি নৌকা মেলে। তাতে করেই দ্রুত মালদা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। কিন্তু, ততক্ষণে সব শেষের পথে।
মালদহ: ভাসছে গোটা এলাকা। তার মধ্যেই তীব্র প্রসব যন্ত্রণা। সময়ে নৌকা না মেলায় প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন গর্ভবতী মহিলা। মর্মান্তিক ঘটনা মালদহের ভূতনির দক্ষিণ চণ্ডীপুর এলাকায়। মৃত মহিলার নাম বিউটি মণ্ডল (২৫)। বাড়ি ভূতনির হীরানন্দপুরে। বছর ছয়েক আগে দক্ষিণ চণ্ডীপুরের প্রতাপ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বর্তমানে আট মাসের গর্ভবতীও ছিলেন। এদিকে এদিন যন্ত্রণা শুরু হতেই তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু, এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি থাকায় অ্য়াম্বুলেন্স তো দূর একটা নৌকাও শুরুতে পাওয়া যায়নি।
শেষ পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর একটি নৌকা মেলে। তাতে করেই দ্রুত মালদা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। কিন্তু, ততক্ষণে সব শেষের পথে। প্রচণ্ড রক্ত ক্ষরণের কারণে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছেন ওই মহিলা। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, অনেক জায়গায় নৌকার খোঁজ করলেও তা পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত বুধবার রাত আটটা নাগাদ একটি নৌকার খোঁজ মেলে। মালদহ মেডিকেল কলেজে পৌঁছাতে রাত এগারোটা বেজে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মারা যান ওই মহিলা।
প্রসঙ্গত, গঙ্গার বাঁধ ভেঙে ভাসছে মানিকচক ব্লকের দক্ষিণ চন্ডিপুর, উত্তর চন্ডিপুর এবং হীরানন্দপুরের মতো তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত। রাস্তা থেকে বাড়ি, কৃষি জমি সবই এখন জলের তলায়। জলের গ্রাসে চলে গিয়েছে ভূতনি থানাও। এলাকার লোকজন বলছেন, এই অবস্থায় তাঁদের যাতায়াতের এক মাত্র ভরসা নৌকাই। কিন্তু, যে পরিমাণ নৌকার প্রয়োজন তাই নেই। বানভাসীদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নৌকার দাবিতে স্থানীয়রা জেলা পরিষদের সদস্যকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখানো হয়েছিল। এবার গর্ভবতীর মৃত্যুর জেরে তা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে এলাকার রাজনৈতিক মহলেও।