Crime: জমির মালিক কে? তাই নিয়েই বিবাদ, ঝামেলা মেটাতে একপক্ষ বেছে নিল চরম পথ!
Malda: ঘটনায় আহত হন এক সিভিক ভলেন্টিয়ারও।
মালদা: দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল জমি নিয়ে বিবাদ। কিন্তু কোনও ভাবেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হচ্ছিল না। এরপরই বাধল যত বিপত্তি। ওই দুই পরিবারের সংঘর্ষে আহত হল তিনজন। জানা গিয়েছে আহতদের মধ্যে রয়েছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ারও।
ঘটনাস্থান মালদার (Malda) কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের কুম্বিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের শুকপাড়া গ্রাম। এই ঘটনায় আহতদের মধ্যে রয়েছে কৃষ্ণ মণ্ডল (৪৪), মদন মণ্ডল (৩২) ও বিমলা মণ্ডল (৬৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ কাঠা জমি নিয়ে কৃষ্ণবাবুর সঙ্গে বিবাদ চলছিল নগেন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির। বেশ কয়েক বছর আগে নগেনবাবু নাকি কৃষ্ণবাবুকে ওই জমি বিক্রি করে দেন। তার কাগজপত্রও কৃষ্ণবাবুর কাছে রয়েছে। কিন্তু নগেনবাবুর দাবি, তিনি ওই জমি বিক্রি করেননি। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল ওই দুই পরিবারের মধ্যে।
অভিযোগ, এরপর গতকাল কৃষ্ণবাবু মটরের চাষ করতে জমির দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় রাস্তায় তাঁর উপর হামলা চালান নগেন মণ্ডল ও তাঁর লোকজন। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে ডিউটিতে যাচ্ছিলেন কৃষ্ণবাবুর ভাই মদন। দাদাকে আক্রান্ত হতে দেখে তিনি তাঁকে বাঁচাতে যান তিনি। নগেন মণ্ডলের লোকজন তাঁর উপরেও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান বলে খবর। ঘটনার খবর পেয়ে বিমলাদেবী ঘটনাস্থানে এলেও তাঁর উপরও হামলা চালানো হয় বললে অভিযোগ।
শেষ পর্যন্ত একই পরিবারের আহত তিনজনকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্তমানে তাঁদের প্রত্যেককে চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়েছে। এই ঘটনায় আহতদের তরফে আটজনের বিরুদ্ধে বৈষ্ণবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতমাসে কোচবিহারে জমি বিবাদের কারণে খুনের ঘটনা পর্যন্ত সামনে আসে। জানা যায় অনেক দিন ধরেই জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল দুই পক্ষের মধ্যে। কিছুতেই মিটছিল না সেই বিবাদ। পরে ঝামেলা মেটাতে একপক্ষ বেছে নিল চরম পথ।
মাথাভাঙা (Mathabhanga)১ নং ব্লকের জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজি মোড় এলাকা। সেখানকার বাসিন্দা সামিউল হক। তার কাছ থেকে আরাউদ্দিন মিঞা নামে এক ব্যক্তি জমি কিনেছিলেন। কেনা জমি নিয়ে শুরু হয় বিবাদ। কিছুদিন ধরেই চলছিল ঝামেলা। এরপর মঙ্গলবার হঠাৎ আরাউদ্দিন মিঞা সামিউল হককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানেই তাকে গুলি করে। পরে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।
আরও পড়ুন: Fire Crackers: রাজ্য জুড়ে চলছে অভিযান, এখনও পর্যন্ত উদ্ধার লক্ষাধিকের নিষিদ্ধ বাজি
আরও পড়ুন: Chandrakona: বাহারী আলোয় কমেছে মাটির প্রদীপের চাহিদা, জীবিকায় টান পড়ছে কুমোরদের