Malda Fox: কারও চোখের মণিতে, কারও আঙুলে, সন্ধ্যার পর বাইরে বেরোলেই হতে হচ্ছে রক্তাক্ত! মালদার এই গ্রামে নয়া আতঙ্ক

Malda Fox: সন্ধ্যার পর রাস্তায় বেরিয়ে কিংবা বাড়ি ফেরার সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ওঁরা প্রত্যেকেই।

Malda Fox: কারও চোখের মণিতে, কারও আঙুলে, সন্ধ্যার পর বাইরে বেরোলেই হতে হচ্ছে রক্তাক্ত! মালদার এই গ্রামে নয়া আতঙ্ক
মালদায় শেয়াল আতঙ্ক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2022 | 12:23 PM

মালদা: কারোর বাঁ চোখের মণিতে, কারোর বুড়ো আঙুল খুবলে গিয়েছে। সন্ধ্যার পর রাস্তায় বেরিয়ে কিংবা বাড়ি ফেরার সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ওঁরা প্রত্যেকেই। আক্রমণকারী এক জনই। সন্ধ্যার পরই গ্রামে এখন আতঙ্ক তাড়া করে ফিরছে। একেবারে দল নিয়ে বেরোচ্ছে তারা। ফাঁকা রাস্তা-মেঠো গলিতে দাপিয়ে বেরাচ্ছে। সামনে কেউ পড়ে গেলেই লাফিয়ে আক্রমণ করছে তাঁদের ওপর। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে এখন চরম আতঙ্ক। দল বেঁধে হামলা চালাচ্ছে শেয়াল। ইতিমধ্যেই হরিশ্চন্দ্রপুরে শেয়ালের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন পাঁচ জন। আতঙ্ক এলাকাতে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ভালুকা অঞ্চলের কালীতলা গ্রামে একদল শেয়াল হঠাৎ করে হানা দেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত কয়েকদিন ধরেই তাদের উপস্থিতি টের পাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা। সন্ধ্যার পর থেকে তাদের গলায় আওয়াজও পাচ্ছিলেন। এক-দু’জনের ওপর হামলাও চালিয়েছে। তবে এতটাও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেনি তারা। রবিবার একই সঙ্গে গ্রামের অনেকের ওপর হামলা চালায় শেয়ালের দল।

সোমবার সকালে কাজে বেরিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। আচমকাই শেয়ালের দলের সামনে পড়েন তাঁরা। পালাতে গিয়েও পার পান না। কারোর হাতে, কারোর পায়ে, এমনকি চোখেও কামড় বসিয়েছে শেয়াল।

শেয়ালের দলের হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে কালীতলা গ্রামের মানুষ। শেয়ালের দলকে আটকাতে গিয়ে ওই গ্রামের পাঁচ জন গ্রামবাসী গুরুতর আহত হন। গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

খবর চাউর হতেই গ্রামবাসীরা লাঠি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। শেয়ালের দলটিকে তাড়া করে গ্রামের বাইরে পাঠিয়ে দেন। ইতিমধ্যেই পাঁচ জনের আহত হওয়ার খবর মিলছে। তাঁদের ভালুকা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কারও চোখে, কারও গলায়,আঙুলে কামড়ে দিয়েছে শেয়াল। বনকর্মীদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে। এক গ্রামবাসী বলেন, “এই ভাবে এত শেয়ালের হামলা গ্রামে এর আগে কখনও হয়নি। একটা দুটো শেয়াল গ্রামে দেখা যেতই। তবে এবারের মতো ঘটনা ঘটেনি। ভয় তো আমরা সকলেই পেয়েছি। আবার না ওরা গ্রামে ঢুকে পড়ে।”