Maldah: এই বাংলার ‘কন্যাশ্রী’! আমবাগানে পড়ে বাক্সবন্দি নিষ্প্রাণ শিশুকন্যা
Crime News: এলাকার লোকজনের কথায়, দিনের আলোয় এমন কাজ কেউ করেছে বলে মনে হয় না। রাতেই শিশুটিকে ফেলে গিয়েছে।
মালদহ: সাত সকালে পাড়ার আমবাগানে বাগানে একটি বাক্স পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার লোকজন। প্রথমে কিছুটা ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। বাক্সটি হাত দিয়ে বোঝেন বেশ ভারী। এরপর বাক্স খুলতেই আঁতকে ওঠেন সকলে। লাল কাপড়ে মোড়ানো ছোট্ট একটা শিশুর দেহ! রবিবার মালদহ থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ বাচ্চা কার, কীভাবেই বা এখানে এল সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুরাতন মালদহ ব্লকের সাহাপুর অঞ্চলের মাধাইপুর গ্রাম। গ্রাম্য এলাকা। বিস্তৃত বাগান গ্রামের মধ্যেই। সারি সারি আম গাছ। বাগানে এলাকার বাচ্চারা খেলে। পাড়ার লোকজনও যাতায়াত করেন। রবিবার সকালে হঠাৎই নজরে আসে আম বাগানে একটা পিচবোর্ডের বাক্স পড়ে আছে।
স্থানীয়রা জানান, বাক্সটি দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। আম বাগানে কে এই বাক্স রাখল, কী বা আছে তাতে নিজেদের মধ্যেই শুরু হয় কৌতূহলের চাওয়াচাওয়ি। এরপরই বাক্স খুলে দেখা যায় একটি কাপড়ে জড়ানো শিশুকন্যা। যদিও ততক্ষণে ছোট্ট দেহ নিষ্প্রাণ হয়ে গিয়েছে। এলাকার লোকজনই ছোটাছুটি শুরু করে। খবর দেওয়া হয় থানায়। স্থানীয় মাথাদেরও জানানো হয়। ছুটে আসে সকলেই।
মাধাইপুরের আম বাগানে ততক্ষণে গ্রামের মেয়ে বউদের ভিড় জমে গিয়েছে। এসেছে বাড়ির ছেলে বুড়োরাও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের এক প্রান্তে এই আম বাগান হওয়ায় নির্জন জায়গা। বেলা বাড়লে খুব একটা লোকজনও যাতায়াত করে না। এখন শীতকাল হওয়ায় দুপুরের পর থেকেই শুনশান। এরইমধ্যে একটি বাক্সে লাল কাপড়ে জড়িয়ে কে বা কারা এই বাচ্চাটিকে ফেলে গেল তার কোনও সূত্রই নেই কারও কাছে।
তবে এলাকার লোকজনের কথায়, দিনের আলোয় এমন কাজ কেউ করেছে বলে মনে হয় না। রাতেই শিশুটিকে ফেলে গিয়েছে। বাক্সের ভিতর ভন ভন করছে মাছির দল। মালদহ থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। যদিও পুলিশের সন্দেহ, খুব বেশি সময় দেহটি রাখা হয়নি। না হলে কুকুর এসে দেহটি খুবলে নেওয়ার চেষ্টা করত। দেহটি কিছুটা ফুলে গিয়েছে শুধু।
স্থানীয় বাসিন্দা আসিফ ইকবাল বলেন, “একটা বাগান সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। আমাকে খবর দেওয়া একটা বাচ্চা পাওয়া গিয়েছে। সদ্যোজাত মেয়ে। কে বা কারা এখানে ফেলে গিয়েছে জানি না। একটা বিস্কুটের বাক্সে বাচ্চাটিকে ফেলে যায়। শুনেই ছুটে আসি। দেখি বিষয়টা সত্যি। আমরা প্রশাসনকেও জানিয়েছি। মাধাইপুর গ্রামে এই প্রথম এরকম ঘটনা ঘটল। আগে কোনওদিন এরকম ঘটনা এলাকায় ঘটেনি। এলাকার প্রতিটা মানুষ চাইছেন এই ঘটনার তদন্ত হোক। এই সন্তান কার। কোথা থেকে এল, কে এমন ন্যক্কারজনক কাজ করল আমরা সকলে তার জবাব চাই।”