Mango Farming: ছোট ছোট সাদা পোকা শুষে নিচ্ছে আমের রস, মাথায় হাত মালদহের আম চাষিদের

Mango Farming: এই বছর চার লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু দয়ে পোকা আক্রমণের ফলে সেই লক্ষ্যে পৌঁছনো যাবে না বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Mango Farming: ছোট ছোট সাদা পোকা শুষে নিচ্ছে আমের রস, মাথায় হাত মালদহের আম চাষিদের
আম গাছে বাড়ছে পোকা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 14, 2023 | 9:50 PM

মালদহ: দুধিয়া পোকার আক্রমণে ঝরে যাচ্ছে আম। মাথায় হাত আমচাষিদের। গত কয়েকদিনের তীব্র দাবদাহের ফলে বেড়েছে দুধিয়া পোকার উপদ্রব। আর যে কারণে মালদহের অর্থকারী এই ফসল ক্ষতির মুখে। মালদহ জেলার উদ্যানপালন ও বাগিচা দফতরের আধিকারিকেদেরও কপালে ভাঁজ পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এই পোকার উপদ্রব কমাতে আমচাষিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

চলতি বছরের শুরুতে আম উৎপাদনে অনুকূল আবহাওয়া থাকার ফলে কৃষক থেকে ব্যবসায়ী সকলেই খুশি ছিলেন। সময়ের আগেই মালদহের আমবাগান মুকুলে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমজনতাও মালদহের আমের স্বাদ অল্প খরচে পাবে বলেই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনের প্রবল গরম চিন্তা বাড়িয়েছে।

মালদহের চাঁচলের সিহিপুরের একাধিক আম বাগানের আমে দেখা গিয়েছে এই দয়ে বা দুধিয়া পোকা। আম গাছ বেয়ে এইসব সাদা পোকা আমের বোঁটার কাছে গিয়ে সব রস শুষে নিয়ে আম ঝরিয়ে দিচ্ছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে আম।

উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,মালদহ জেলায় ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমচাষ হয়। এই বছর চার লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু দয়ে পোকা আক্রমণের ফলে সেই লক্ষ্যে পৌঁছনো যাবে না বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন জেলা উদ্যান পালন ও বাগিচা দফতরের কর্তারা।

মালদহের চাঁচলের সিহিপুরের আম চাষি অনুকূল প্রামাণিক বলেন, যে হারে এই পোকার উপদ্রব বেড়েছে, তাতে আম গাছ বাঁচিয়ে রাখাই দায় হয়ে উঠেছে। ঋণ নিয়ে আম চাষ করেছিলাম। প্রথমে মুকুল ভাল হওয়ায় আশা করেছিলাম, এবার হয়ত ফলন ভাল হবে, দুটো পয়সার মুখ দেখব। তিনি রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে দ্রুত এই পোকার উপদ্রব থেকে আম রক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়।

অন্যদিকে, আম চাষি অনিল দাস এই পরিস্থিতির জন্য জেলা উদ্যান পালন দফতরকে দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, উদ্যান পালন দফতরের আম চাষিদের নিয়ে কোনও মাথা ব্যাথা নেই। আম চাষ নিয়ে কোনও প্রশিক্ষণ বা সহযোগিতা তাঁরা উদ্যান পালন দফতরের কাছ থেকে পান না বলেও অভিযোগ তুলেছেন।

জেলা উদ্যানপালন বাগিচা দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, পোকার উপদ্রব শুরু হয়েছে। তীব্র দাবদাহও চলছে। এই সময় সংবেদনশীল পোকা মারার কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া নিম তেল জাতীয় জিনিস জলে মিশিয়ে স্প্রে করলেও উপকার পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।