Malda : রক্তে ভেসে গেল বাড়ির উঠোন, নবম শ্রেণি ছাত্রের গোপনাঙ্গ কেটে পালাল দুষ্কৃতীরা
Malda : খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রতুয়া থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি ওই স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় সামসি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
মালদা : নবম শ্রেণি ছাত্রের গোপনাঙ্গ কেটে (Private Parts) পালাল দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই পড়ুয়া চিকিৎসাধীন মালদা (Malda) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার রতুয়া থানার সামসির তুষ রক্ষা গ্রামে। আহত কিশোর স্থানীয় বৈদ্যনাথ হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ঘটনাটি যখন ঘটে তখন ওই কিশোর নিজের ঘরে ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎই চিৎকার শুনতে পান তার বাবা। তড়িঘড়ি ছুটে এসে দেখে ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বাড়ির উঠোনে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে উঠোন। তখন আসল ঘটনার কথা ঠাহর করতে পারেননি তিনি। প্যান্টের দিকে চোখ যেতেই দেখেন ওই পড়ুয়ার গোপনাঙ্গ কাটা। চিৎকার শুরু করেন তিনি। তাঁর চিৎকারেই ছুটে আসেন বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা। ভড়ি জমে প্রতিবেশীদেরও। তড়িঘড়ি ওই কিশোরকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রতুয়া থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি ওই স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় সামসি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। অবস্থার অবনতি হলে তাকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে কে বা কারা এই কাজ করেছে সে বিষয়ে দিশাহীন আহত ছাত্রের পরিবার। ওই পড়ুয়ার বাবা জানাচ্ছেন রক্তক্ত অবস্থায় যখন তাঁর ছেলে বাড়িতে পড়েছিল তখন সে জানায় দুজন ব্যক্তিকে আক্রমণের আগে সে দেখতে পেয়েছিল। যদিও তাঁদের মুখ ঢাকা থাকায় তাঁদের কাউকেই চিনতে পারেনি সে।
তিনি বলেন, “আমি তো তখন ঘরে ছিলাম। আচমকা ছেলের চিৎকার শুনি। আমি ছুটে গিয়ে দেখি উঠোনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল। দেখি ওর গোপনাঙ্গ কাটা। রক্তে ভেসে যাচ্ছে প্যান্ট। তখনই ও বলে দুজনকে দেখেছে। যাঁরা এই কাজ করেছে। তবে মুখ ঢাকা থাকায় তাদের কাউকে চিনতে পারেনি। পুলিশ এসেছিল এরপরেই। আমরা খুবই আতঙ্কে আছি। আমরা দোষীদের কড়া শাস্তি চাই।”