Malda : রহস্যজনকভাবে মৃত্যু ব্যক্তির, দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় প্রথমপক্ষের স্ত্রী, কবর থেকে উঠল হাসানের দেহ
Malda : মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভাটল চন্ডিপুরা এলাকার গাররা গ্রামের বাসিন্দা হাসান। ভিন রাজ্যে করতেন দর্জির কাজ। দুটি বিয়েও করেছিলেন।
মালদা : দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে করছিলেন ঘর। সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকতেন প্রথমপক্ষের স্ত্রী। আচমকা প্রথমপক্ষের স্ত্রীর কাছে খবর যায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে স্বামীর। শ্বশুরবাড়িতে ছুটে গেলে ততক্ষণে স্বামীর দেহ ঠাঁই পেয়েছে কবরে। এরপরই সোজা থানায় চলে গেলেন তিনি। কবর থেকে তুলে আনা হল স্বামীর দেহ। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করল পুুলিশ (Police)।
মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভাটল চন্ডিপুরা এলাকার গাররা গ্রামের বাসিন্দা হাসান। ভিন রাজ্যে করতেন দর্জির কাজ। দুটি বিয়েও করেছিলেন। তবে প্রথমপক্ষের স্ত্রী আরবিনা বিবি তাঁর সন্তানদের নিয়ে থাকতেন বাপের বাড়ি। হাসানের বাড়িতে পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে থাকতেন দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী আনা বিবি। সূত্রের খবর, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে আরবিনা বিবি খবর পান তার স্বামী মারা গিয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে ঝুলন্ত দেহ। ৫ তারিখ আরবিনা বিবি তাঁর পুত্র সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছলে দেখেন ততক্ষণে কবর দেওয়া হয়ে গিয়েছে হাসানের দেহ। আত্মীয়-পরিজনরা সকলে আসার আগে কেন এত তাড়াতাড়ি কবর দেওয়া হল সেই প্রশ্ন করেছিলেন আরবিনা বিবি। তবে উত্তর মেলেনি।
এরপরই আরও সন্দেহ বাড়ে তাঁর। দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী সহ হাসানের পরিবারের আটজনের বিরুদ্ধে হরিশচন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ পেতেই রাকিব নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত করতে ইতিমধ্যেই হাসানের দেহ কবর থেকে তুলেছে পুলিশ। পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনা প্রসঙ্গে প্রথমপক্ষের স্ত্রী আরবিনা বিবি বলেন, “রাতে মৃত্যুর খবর পাই। তারপরই আমি ওখানে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি কবর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার সন্দেহ ওকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। আমি দোষীদের শাস্তি চাই।”