Maldah: ‘খুন করেছেন দ্বিতীয় স্ত্রী’, প্রথম স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে কবর থেকে তোলা হল দেহ
Maldah: ' এক ব্যক্তির রহস্যময় মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ছিল, দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী খুন করেছেন।
মালদা: খুনের কিনারা করতে এবার কবর থেকে দেহ তুলে ময়না তদন্তের জন্যে পাঠাল পুলিশ। এক ব্যক্তির রহস্যময় মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ছিল, দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী খুন করেছেন। প্রথম পক্ষের স্ত্রীও এই একই অভিযোগ তুলেছে।রহস্যের কিনারা করতে বিডিওর উপস্থিতিতে কবর থেকে মৃতদেহ তোলা হল ময়নাতদন্তের জন্য, মানুষের উপচে পড়া ভিড়, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন বিশাল বাহিনী। চাঞ্চল্য মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভাটোল গাড়রা গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা হাসানের মৃত্যু হয় ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখে। সেদিন ঘর থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু পরিবারের লোকেরা ময়নাতদন্ত না করিয়ে কবর দিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
হাসনের প্রথম স্ত্রী আরবিনা বিবি অভিযোগ করেন, তাঁর সতিন আনা বিবি এবং পরিবারের অন্যান্য লোকেরা চক্রান্ত করে স্বামীকে হত্যা করেছেন। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় এই নিয়ে আট জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আরবিনা বিবি। মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সেই দাবি অনুযায়ী রহস্যের কিনারা করতে এই দিন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে গাড়রা গ্রামের কবরস্থান থেকে মাটি খুঁড়ে তোলা হয় হাসনের দেহ। সমগ্র প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য মোতায়েন ছিল বিশাল বাহিনী। উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেবদূত-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা। কবর থেকে মৃতদেহ তোলা দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। মৃতদেহ তুলে নিয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, হাসনের দুই স্ত্রী ছিল। প্রথম স্ত্রী আরবিনা বিবিকে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন হাসন। কিন্তু পরিবারের মত না থাকায় প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকতো। অশান্তির জেরে একমাত্র পুত্র সন্তানকে নিয়ে এক বছর আগে বাপের বাড়ি চলে যান আরবিনা বিবি। তারপরেই তার পরিবারের লোকেরা আনা বিবির সঙ্গে বিয়ে দেন হাসানের। এদিকে প্রথম স্ত্রী আরবিনা বিবি সংসারে ফিরে আসার চেষ্টা করেন। ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ আরবিনা বিবিকে বাপের বাড়ি আনতে যাওয়ার কথা ছিল হাসানের। ৩ তারিখ এই নিয়ে কথা হয়েছিল স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। কিন্তু ৪ তারিখ আরবিনা বিবি খবর পান, হাসান আত্মহত্যা করেছেন। ৫ তারিখ ছেলেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি এসে জানতে পারেন, দেহ কবরও দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
তারপরেই তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। পুলিশ অপেক্ষা করছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য। ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও, পুলিশ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।