Malda Teacher Recruitment Scam: মালদা কলেজে শিক্ষক নিয়োগে কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধেই পথে নামছে যুব তৃণমূল

Malda: তৃণমূলের অভিযোগ, প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বেআইনি ভাবে সাতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে পাকুয়াহাট কলেজে।

Malda Teacher Recruitment Scam: মালদা কলেজে শিক্ষক নিয়োগে কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধেই পথে নামছে যুব তৃণমূল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2022 | 8:39 PM

মালদা: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। এই মুহূর্তে তাঁরা রয়েছেন ইডি হেফাজতে। বিরোধীদের নানা অভিযোগের মাঝে এবার এই দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়ে পথে নামছে যুব তৃণমূলের একাংশ। বৃহস্পতিবার টিভি৯ বাংলাকে মালদার যুব তৃণমূলের জেলা সম্পাদক মলয় বর্মণ, যুব তৃণমূলের ব্লক সহ সভাপতি সুজিত মন্ডল জানান, কোটি টাকার বিনিময়ে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে পাকুয়াহাট কলেজের সাত অধ্যাপক নিয়োগের ক্ষেত্রে।

অভিযোগকারী যুব তৃণমূলের নেতাদের দাবি, প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বেআইনিভাবে সাতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে পাকুয়াহাট কলেজে। আর সেই টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন কলকাতায় পাঠানো হয়েছে বলেও তাঁদের অভিযোগ। শুধু অভিযোগ করেই থেমে থাকেননি টিএমসিপির এই সদস্যরা। বরং এক কদম এগিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন যুব তৃণমূলের এই সদস্যরা। শুধু তাই নয় প্রকাশ্যে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে ৭ শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছিল পাকুয়াহাট কলেজে। সে সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বিতর্ক শুরু হওয়ায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষা দফতর। অভিযোগ, এরপরেও ব্যাকডেট দেখিয়ে নিয়োগ করা হয় ওই শিক্ষকদের। যুব তৃণমূলের একাংশের নেতাদের দাবি, লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিয়মে নিয়োগ করা হয়। সে সময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।  

এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও চিঠি মারফৎ অভিযোগ জানিয়েছেন যুব তৃণমূলের সদস্যরা, এমনটাই দাবি। তবে লাভের লাভ কিছু হয়নি। উল্টে তদন্তের নামে প্রহসন হয়েছে, বলছেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের নিয়োগ বন্ধের নির্দেশিকা থাকলেও সেই নির্দেশিকা অমান্য করেই মালদার বামোনগোলার পাকুয়াহাট কলেজে ৭ জন শিক্ষককে গোপনে নিয়োগ করা হয়েছে।

এই বিষয়ে টিভি ৯ বাংলা কলেজে পৌঁছনোর আগেই টিআইসি (টিচার-ইন-চার্জ) কলেজ ছেড়ে চলে যান। দায়িত্বে থাকা অধ্যাপিকা মোসাম্মদ রোজিনা আশ্চর্যজনকভাবে এটাই বলতে পারলেন না যে এই কলেজে ঠিক কতজন শিক্ষক রয়েছেন। বাকি কিছু বলা তো দূর অস্ত।

এ দিকে, দলের মধ্যেই বেশ কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী এই দুর্নীতি নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেওয়ায় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে কেউ যদিও অভিযোগ করেনি বলেই জানিয়েছেন মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি। এ দিন, মলয় বর্মণ বলেন, ‘গেস্ট লেকচারের লিস্ট রয়েছে। সেখানে বর্তমান এবং তৎকালীন টিআইসি পরেশনাথ দাস। এখানে ২০১৯ সালের ২৫ জুলাই অতিথি শিক্ষকের সংখ্যা ১১ জন। তাহলে এর ঠিক আগের মাসে যদি কাউকে নিয়োগ করা হয়ে থাকে তাঁদের তালিকা কোথায়?’ অপরদিকে যুব তৃণমূলের নেতা সুজিত মন্ডল বলেন, ‘কলেজে প্রায় সাতজনের নিয়োগে  বেনিয়ম হয়েছে। সেখানে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার লেনদেন দেখতে পাচ্ছি। এইরকম করতে থাকলে দলের ক্ষতি হচ্ছে।”