Migrant worker death: ভিন রাজ্য থেকে মরদেহ আনতে পড়বে ৯০ হাজার, হিন্দু যুবকের সৎকারে এগিয়ে এলেন মুসলিম ভাইরা!

Malda: জীবিকার জন্য সাতদিন আগে পাড়ি দিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে।

Migrant worker death: ভিন রাজ্য থেকে মরদেহ আনতে পড়বে ৯০ হাজার, হিন্দু যুবকের সৎকারে এগিয়ে এলেন মুসলিম ভাইরা!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু পুলিশকর্মীর (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2021 | 5:41 PM

মালদা: সম্প্রীতির ছবি জেলায়। মহাজনের ঋণ শোধ করতে গিয়ে ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া। আর তারপর মর্মান্তিক পরিনতি। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে সৎকার পর্যন্ত করতে পারছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু এই কঠীন সময়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন পাড়ার কয়েকজন মুসলিম যুবক। তাঁদের চেষ্টায় সম্পন্ন হল ওই ব্যক্তির শেষকৃত্য।

মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়গড়ি গ্রামের বাসিন্দা চন্দন মহলদার। মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে সবজি বিক্রির ব্যবসার কাজ শুরু করেছিলেন এলাকায়। কিন্তু লকডাউন ও করোনা জেরে থমকে গিয়েছিল ব্যবসা। যার কারণে চড়া সুদে ঋণ দেওয়া টাকার কিস্তি টানতে পারছিল না তিনি। তাই জীবিকার জন্য সাতদিন আগে পাড়ি দিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে।

কিন্তু মর্মান্তিক পরিনতি হয় চন্দনবাবুর। তিনদিন আগেই ট্রেন থেকে পড়ে সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে মৃত্যু হয় তাঁর। সেই খবর গ্রামে এসে পৌঁছতেই এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। প্রিয়জনকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েন পরিবারের মানুষজন। পরে স্থানীয় পুলিশের তত্ত্বাবধানেই চন্দনবাবুর মৃতদেহ পোস্টমর্টেম করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর ফেরাতেই দেখা যায় সমস্যা। অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ আনতে খরচ পড়বে ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু কোথায় পাবেন এত টাকা?ভেবে মাথায় হাত পরে মৃতের পরিবারের। তখন গ্রামবাসীরাই উদ্যোগ নেন চন্দন মহালদারের মরদেহ গ্রামে ফেরাতে।

বাড়ি-বাড়ি গিয়ে চাঁদা তুলে টাকা যোগাড় করতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁদেরই চেষ্টায় গ্রামে ফেরে চন্দনবাবুর মৃতদেহ। আজ মৃতদেহ বাড়িতে ফিরলে কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা গ্রাম। শেষকৃত্যেও পাশে থাকলেন গ্রামবাসীরাই। এমনকী মুসলিম প্রতিবেশীরাই কাঁধে করে শ্মশানে নিয়ে গেলেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর চন্দনবাবুর এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে। প্রত্যেকেই নাবালক। দু’বছর আগে লকডাউনের মধ্যে বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছে চন্দনবাবুর বাবা অর্জুন মহলদার। বৃদ্ধা মা সারথি মহালদার বাজারে ঘুরে সবজি বিক্রি করেন। জোটেনি কোনও সরকারি সাহায্য। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ স্ত্রীও। এই অবস্থায় ধার দেনা করে মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ধার করে লকডাউনের মধ্যে সবজির ব্যবসা শুরু করেছিল চন্দন মহালদার। কিন্তু লকডাউন এও ব্যবসা মার খেয়েছিল। তাই বাধ্য হয়ে আবার ভিন রাজ্যে ফিরে গিয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস কাজে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল দরিদ্র দিনমজুরের।

আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: ‘প্রত্যেকবার নাটক করেন’, খড়দহের ঘটনায় তন্ময়কে বক্রোক্তি পার্থর