TMC: ত্রাণ-দুর্নীতিতে তৃণমূলের ব্লক নেত্রীর নামে পোস্টার, পাল্টা ষড়যন্ত্রের দাবি

Maldah: ২০১৭ সালে হরিশচন্দ্রপুর এলাকায় ভয়াবহ বন্যা হয়। বন্যা দুর্গতদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, এই ত্রাণ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করে শাসকদলের স্থানীয় নেতাদের একাংশ।

TMC: ত্রাণ-দুর্নীতিতে তৃণমূলের ব্লক নেত্রীর নামে পোস্টার, পাল্টা ষড়যন্ত্রের দাবি
এই সেই পোস্টার ও তৃণমূলের সুজাতা সাহা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 18, 2023 | 9:11 PM

মালদহ: তৃণমূলের ব্লক মহিলা সভানেত্রীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল এলাকায়। পোস্টারে লেখা, ‘বন্যা ত্রাণ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড সুজাতা সাহাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে’। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল মালদহের হরিশচন্দ্রপুরে। হরিশচন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুজাতা সাহা। ব্লকেরও নেত্রী তিনি। তাঁর বিরুদ্ধেই পোস্টার পড়েছে তুলসিহাটা গ্রামপঞ্চায়েতের বোড়োল এলাকায়। সুজাতা সাহার অবশ্য দাবি, এই ঘটনা সম্পূর্ণ বিরোধীদের চক্রান্ত। যদিও পাল্টা তৃণমূলকে একহাত নিয়েছে বিজেপি। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে মালদহের হরিশচন্দ্রপুরে বন্যাত্রাণ দুর্নীতিতে ক্যাগ বা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (CAG) তদন্তের আবহে নতুন করে শোরগোল এলাকাজুড়ে।

২০১৭ সালে হরিশচন্দ্রপুর এলাকায় ভয়াবহ বন্যা হয়। বন্যা দুর্গতদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, এই ত্রাণ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করে শাসকদলের স্থানীয় নেতাদের একাংশ। হরিশচন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩ কোটি ৫৪ লক্ষ এবং বরুই গ্রামপঞ্চায়েতে ৭৬ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। বরুই গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান সোনামনি সাহা-সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন গ্রেফতারও হন। তবে এই ঘটনায় এলাকার লোকজনের একটা অংশ এবং বিরোধী শিবিরের আঙুল সুজাতা সাহার দিকে। অভিযোগ, সুজাতা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।

কিছুদিন আগেই হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাগ বা সিএজি (CAG) তদন্ত শুরু করছে। রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে আট সপ্তাহের মধ্যে। এর মধ্যে পোস্টার-বিড়ম্বনা শাসকদলে। তবে সুজাতা সাহার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে হরিশচন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আদিত্য মিশ্রের গলায়। হরিশচন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আদিত্য মিশ্র বলেন, “হয়ত ওনার এলাকার লোকজন বঞ্চিত ওনার কাছে, তাই এ কথা বলছেন। না হলে তো কেউ ক্ষোভ দেখাবেন না। তবে কারা করল তাও দেখতে হবে। অনেক সময় বিরোধীরাও করতে পারে। তবে ভোটাররা বঞ্চিত হয়েও এগুলো করতে পারে। আমি আগেও বলেছি বন্যাত্রাণে দুর্নীতি হয়েছে।”

এ বিষয়ে তৃণমূলের ব্লক সভানেত্রী তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুজাতা সাহা বলেন, “এটা একেবারেই চক্রান্ত। এর মধ্যে আমার দলের কেউ নেই। বিজেপি বা কিছু সিপিএমের লোক নিয়ে এসব করা হচ্ছে।” জেলা পরিষদ সভাধিপতি রফিকুল হোসেন বলেন, “পোস্টার দেওয়া হয়েছে শুনেছি। সুজাতা আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। তাই এটা বিরোধীদের চালও হতে পারে। আমরা খবর নিয়ে দেখছি। আর সত্যি দোষ থাকলে দল ভাবনা চিন্তা নিশ্চয়ই করবে। এখানে আমাদের বিধায়ক আছেন, মন্ত্রী আছেন।” অন্যদিকে বিজেপির উত্তর মালদহ সাংগঠনিক যুব মোর্চার সভাপতি অয়ন রায় বলেন, “বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের ঘাড়ে দোষ ঠেলতে চাইছে। আসলে এটা শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। আর উনি যে বন্যাত্রাণের টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাতে তো কোনও ভুল নেই। সাধারণ মানুষও তো ভালভাবে নেবে না।”