Rahul Gandhi: ‘ভারত জোড়ো যাত্রার’ সঙ্গে কেন জুড়েছে ‘ন্যায়’ শব্দ? ব্যাখ্যা দিলেন রাহুল

Rahul Gandhi: যখন বিহার-বাংলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল রাহুলের যাত্রা তখনই তাঁর গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। ভেঙে যায় গাড়ির কাচ। উইন্ড স্ক্রিন পুরোটাই ভেঙে যায়। তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। সন্ধ্যায় এ ঘটনার প্রতিবাদে পথেও নামতে দেখা যায় কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের।

Rahul Gandhi: ‘ভারত জোড়ো যাত্রার’ সঙ্গে কেন জুড়েছে ‘ন্যায়’ শব্দ? ব্যাখ্যা দিলেন রাহুল
রাহুল গান্ধী Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2024 | 6:37 PM

মালদহ: বাংলায় ঢুকে গিয়েছে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। কোচবিহার হয়ে বর্তমানে মালদহে রয়েছে মিছিল। কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। এদিকে যখন বিহার-বাংলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে যখন যাচ্ছিল রাহুলের যাত্রা তখনই তাঁর গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। ভেঙে যায় গাড়ির কাচ। উইন্ড স্ক্রিন পুরোটাই ভেঙে যায়। তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। সন্ধ্যায় এ ঘটনার প্রতিবাদে পথেও নামতে দেখা যায় কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের। এদিন ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার মধ্যেই ইংরেজবাজারে একটি পথ ভা করেন রাহুল। কড়া আক্রমণ শানান পদ্ম শিবিরের দিকে। মোদির কৃষক বিরোধী নীতির তীব্র সমালোচনা করেন। রাহুল ঢুকতেই মালদহ শহরে কংগ্রেস কর্মীদের মাঝেই ঝান্ডা হাতে দেখা যায় বাম কর্মীদেরও। 

ইংরেজবাজার থেকে চাঁচাছোলা ভাষাতেই রাহুল বলেন, “ভারত জোড়ো যাত্রায় আমরা ন্যায় শব্দটি জুড়ে দিয়েছি। কারণ প্রতিটা রাজ্যে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের অন্যায় হচ্ছে। যে কোনও রাজ্যে চলে যান সেখানের মানুষ বলবেন ভারতে বেকারত্ব যে জায়গায় পৌঁছেছে তা বিগত ৩০-৪০ বছরে দেখা যায়নি। আর্থিক অন্যায়, সামাজিক অন্যায়, মহিলাদের বিরুদ্ধে অন্যায়, কৃষকদের প্রতি অন্যায়, শ্রমিকদের প্রতি অন্যায় করে চলেছে মোদী সরকার। কৃষি ক্ষেত্রে কৃষকদের জন্য কালো আইন এনেছিলেন। কিন্তু, কৃষকরা একজোট হয়ে তা ঠেকিয়েছেন।”

একইসঙ্গে তাঁদের সরকার ক্ষমতায় এলেই যে দ্রুত জাতি জনগণনা হবে সে কথা জানাতে ভোলেননি রাহুল। একইসঙ্গে কেন ভারত জোড়ো যাত্রার সঙ্গে ন্যায় শব্দ জোড়া হল সেই ব্যাখ্যাও দেন। বলেন, “আমি আপনাদের মন কি বাত শুনতে এসেছি। সামাজিক ন্যায়ের জন্য জাতি জনগণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলেই আমরা এই সেনসাস করব। দেখা হবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষ কতজন আছে, আদিবাসী কতজন আছেন, কতজনই বা দলিত। আমরা পাঁচটা ন্যায়ের দাবিতে এগিয়ে চলেছি। আর্থিক ন্যায়, সামাজিক ন্যায়, কৃষকদের ন্যায়, মহিলাদের জন্য ন্যায়, মজদুরদের জন্য ন্যায় নিয়ে আমরা কথা বলতে চাইছি।” তবে মালদহে এসে গনিখান চৌধুরীর নাম নিতে ভোলেননি তিনি। তাঁর কাজের জন্য সম্মানও জানান। বলেন, ওনার কথা তো বলতেই হবে। উনি যা করেছেন তা ভোলার নয়। ওনাকে মনে রাখতেই হবে।