Maldah: বিল না মেটানোয় স্বামীকে ছাড়ছে না নার্সিংহোম, দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন স্ত্রী

Maldah: এক মাস আগে দিল্লি থেকে ফিরছিলেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু ওই ট্রেন আবার হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে দাঁড়ায় না। চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে গুরুতরভাবে আহত হন। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে।

Maldah: বিল না মেটানোয় স্বামীকে ছাড়ছে না নার্সিংহোম, দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন স্ত্রী
দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন গণেশের পরিবারImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 12, 2023 | 4:40 PM

মালদহ: বিল না মেটাতে পারার জন্য নার্সিংহোম থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না পরিযায়ী শ্রমিক। অভিযোগ পরিবারের।  বকেয়া বিলের টাকা জোগাতে দুয়ারে দুয়ারে সাহায্যের জন্য ঘুরছে অসহায় পরিবারের। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের পিপলা গ্রামের ঘটনা। পিপলার বাসিন্দা বছর চল্লিশের গণেশ দাস পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। পরিবারে রয়েছে দুই  সন্তান, স্ত্রী এবং বৃদ্ধা মা। অভাব অনটনের সংসার। এলাকায় কাজের অভাব।  তাই মাঝে মাঝেই দাদন খাটতে যান ভিন রাজ্যে।

এক মাস আগে দিল্লি থেকে ফিরছিলেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু ওই ট্রেন আবার হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে দাঁড়ায় না। চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে গুরুতরভাবে আহত হন। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। তারপর স্থানান্তরিত করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও ঠিকঠাক চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ায় পরিবারের লোকেরা পার্শ্ববর্তী বিহারের পূর্ণিয়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন গণেশ দাসকে।

পায়ে গুরুতর চোট থাকার জন্য অস্ত্রোপচার হয় গণেশ দাসের। প্রথম অবস্থায় নিজেদের টাকা দিয়ে এবং প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সাহায্য তুলে চলে চিকিৎসা করান। একমাস পর নার্সিংহোমের বিল গিয়ে দাঁড়ায় লক্ষাধিক টাকা। বিল মেটাতে পারছে না গণেশের পরিবার। যার ফলে নার্সিংহোম থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না গণেশ।

গণেশের স্ত্রী এবং মা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন এলাকায় দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন অর্থ সাহায্যের জন্য। লোকের বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দোকানে। যাচ্ছেন পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনিক দফতরেও। জন-প্রতিনিধি এবং নেতাদেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু তাদের কাছ থেকে তেমন ভাবে মেলেনি সাহায্য। গণেশের শাশুড়ি বলেন, “আমার জামাই ট্রেন থেকে নামতে গিয়েই পড়ে গিয়ে আহত হয়। তারপর নার্সিংহোমে ভর্তি। ওই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। এখন টাকা কোথায় পাব, নার্সিংহোম তো সেকথা শুনছে না।”

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ কর্মীরা ব্যক্তিগতভাবে কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়েছেন ওই অসহায় পরিবারের হাতে। বিজেপি এবং কংগ্রেস এই ঘটনায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এবং রাজ্যের কর্মসংস্থান নিয়ে শাসককে আক্রমণ করেছেন। তৃণমূল এই ঘটনায় রাজনীতি না করে পরিবারকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।  স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলেন, “আমরা এখন আর রাজনীতি নিয়ে ভাবছি না। আমরা দলের তরফে সবরকমভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করছি। ওঁ যাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা দ্রুত পান, সেই বিষয়টি দেখছি। ” এই ঘটনায় অবশ্য নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।