কৃষি আইন প্রত্যাহার করুক, নচেৎ দেশজুড়ে আন্দোলন, কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি মমতার
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, একুশের নির্বাচনে কৃষক আন্দোলনকে হাতিয়ার করেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্টেপ-আউট হতে পারেন মমতা।
TV9 বাংলা ডিজিটাল: রাজধানীতে কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কার্যত হুঁশিয়ারি সুরে টুইটে তিনি জানান, সরকারের অবিলম্বে কৃষক বিরোধী বিল তুলে নেওয়া উচিত। নচেৎ গোটা রাজ্যে তো বটেই দেশজুড়ে বড়সড় বিক্ষোভ অবস্থানে হাঁটবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁরাই প্রথম থেকে এই বিলের বিরোধিতা করে আসছেন।
এই মুহূর্তে কৃষক বিক্ষোভ সবথেকে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা দেশে। গত ১ ডিসেম্বর কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে কেন্দ্র। কিন্তু কোনও রফাসূত্র মেলেনি। সরকারের তরফে কমিটি তৈরির পরামর্শ দিলে, পত্রপাঠ তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, কৃষি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক জটিলতাও তৈরি হয় দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা রাজ্যগুলির সঙ্গে।
I am very much concerned about the farmers, their lives and livelihood. GOI must withdraw the anti-farmer bills. If they do not do so immediately we will agitate throughout the state and the country. From the very start, we have been strongly opposing these anti-farmer bills.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 3, 2020
We have called a meeting of the the All India Trinamool Congress on Friday, December 4. We will discuss how the Essential Commodities Act is impacting common people and resulting in sky rocketing prices. The central government must withdraw this anti-people law
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 3, 2020
আরও পড়ুন- “কৃষকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা”, পদ্মবিভূষণ ফেরালেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবার দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। আলোচনা হবে নয়া অত্যাবশকীয় পণ্য আইন সাধারণ মানুষের জীবনে কীভাবে প্রভাব পড়ছে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের লাগামছাড়া দাম নিয়ে। মনে করা হচ্ছে ওই বৈঠকের পরই কৃষক আন্দোলনে তৃণমূলের কর্মসূচি স্পষ্ট করে দেওয়া হবে। মমতার অভিযোগ, দেশের সব সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। রেল, এয়ার ইন্ডিয়া, কয়লা খনি, ব্যাঙ্ক বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি যেন নিজেদের সম্পত্তি মনে করছে বলে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, একুশের নির্বাচনে কৃষক আন্দোলনকে হাতিয়ার করেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্টেপ-আউট হতে পারেন মমতা।