Fox Attack: বড়ঞার পর এবার উমরাপুর ১০ জনকে কামড়ে দিল শেয়াল
Fox attack: বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে। উল্লাপাড়া গ্রামে মোট চার মহিলা ও দুই শিশু সহ মোট দশ আহত হয়েছে। তড়িঘড়ি আক্রান্তদের সামসেরগঞ্জের অনুপনগর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ: দমানো যাচ্ছে না কিছুতেই। রাত বাড়লেই শুধু হুক্কা-হুয়া ডাক। খাবারের খোঁজ গোটা গ্রামে বেড়েছে শেয়ালের উৎপাত। কিছুতেই মিলছে না নিস্তার। যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। কারণ উমরাপুর পঞ্চায়েতের বাউড়িপুনির উল্লাপাড়া গ্রামে শেয়ালের কামড়ে আহত দশজন।
বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে। উল্লাপাড়া গ্রামে মোট চার মহিলা ও দুই শিশু সহ মোট দশ আহত হয়েছে। তড়িঘড়ি আক্রান্তদের সামসেরগঞ্জের অনুপনগর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় উদ্বিঘ্ন এলাকাবাসী।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে হঠাতই গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়ে শেয়াল। একটি শিশুকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল সে। গ্রামবাসীরা দেখতে পায়। এরপর সেই শেয়ালকে তাড়া করতেই পাল্টা গ্রামবাসীদের উপর হঠাতই আক্রমণ করে সে। তখনই শেয়ালের কামড়ে জখম হন চার মহিলা, দুই শিশু সহ প্রায় দশজন গ্রামবাসী। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
অনেকেরই রক্ত ক্ষরণ শুরু হয়। তড়িঘড়ি আক্রান্তদের সামসেরগঞ্জের অনুপনগর ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, উল্লাপাড়া গ্রামটি মাঠ সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় যখন তখন এমন ঘটনা ঘটছে। অনতিবিলম্বে শেয়ালের হাত থেকে রক্ষা করতে বনদফতর ও প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
উল্লেখ্য, এর আগে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা শেয়ালের আক্রমণে আহত হয়েছিলেন চারজন। সোমবার সন্ধেয় রাস্তায় হঠাৎই আক্রমণ চালায় সে। আহতদের মধ্যে ভগীরথ দাস ও সমীরণ চৌধুরী নামে দু’জন ছিলেন।তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের শরীরের একাধিক জায়গায় গুরুতর আঘাত লেগেছিল। সেই ঘটনার দু’দিন কাটতে না কাটতেই আজ ফের শেয়ালের আক্রমণ হল জেলার অন্য আর একজায়গায়।