তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমাবাজির পরদিনই উদ্ধার ৬৫টি তাজা বোমা! তীব্র উত্তেজনা
Bomb: রবিবার এই এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। তার পরেই এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশের তলাশি অভিযানে উদ্ধার হয় ৬৫ টি বোমা।
মুর্শিদাবাদ: তৃণমূলের পঞ্চায়েত ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন এলাকারই তৃণমূল নেতা। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এক সঙ্গে প্রায় ৬৫টি তাজা বোমা উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল বেলডাঙ্গায়। রবিবারের বোমাবাজির ঘটনার পর সোমবার সকাল থেকে বেলডাঙ্গার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। তারপর সুজাপুরের তাতলাপারাই গ্রামে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
রবিবার এই এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। তার পরেই এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশের তলাশি অভিযানে উদ্ধার হয় ৬৫ টি বোমা। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকা জুড়ে ঘরবন্দি রয়েছেন মানুষ। অনেকেই ভয়ে এলাকা ছাড়েন। থমথমে পরিবেশ এলাকায়। বেলা বাড়তে ঘটনাস্থলে আসে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। উদ্ধার হওয়া বোমাগুলি বাগানে নিয়ে গিয়ে নিষ্ক্রিয় করেন কর্মীরা।
রবিবারই তৃণমূলের পঞ্চায়েত ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। শনিবার মাঝরাত থেকে বেলডাঙ্গা থানার অন্তর্গত সুজাপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পাতরাপারা এলাকায় পঞ্চায়েত প্রধানের ঘনিষ্ঠদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনায় বেলডাঙ্গা থানার পুলিশ আসে। তবে এপর্যন্ত বোমাবাজির ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার বা আটক করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনায় সুজাপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতাজ বেগম বলেন এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে টিংকু সেখ (পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামী), ভাষা সেখ ও কালু এই কাজ করেছে।
তিনি বলেন, “গ্ৰামের বেশিরভাগ মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। সেই জন্য এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে এই কাজ করছে। এলাকায় গতকাল রাতে প্রায় পাঁচ থেকে ছয়টি বাড়িতে বোমাবাজি করা হয়।” পুরনো বিবাদের জেরে এই ঘটনা বলে জানান তিনি। যদিও এই ঘটনায় কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি টিংকু ও কালু সেখের। এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি। তার মধ্যে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। আরও পড়ুন: ‘এটাও পাওনা ছিল!’ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও মহিলা কর্মাধ্যক্ষের চুলির মুঠি ধরে অফিসছাড়া করল দলেরই কর্মীরা!