Adhir Chowdhury: ‘আর জ্ঞান দিতে আসবেন না’, অভিষেককে কটাক্ষ অধীরের, পাল্টা দিলেন কুণাল

Adhir Chowdhury: অভিষেক জানান, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ২৪০ আসনে জয়ী হবে তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪০টি আসনে জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে শাসক দল।

Adhir Chowdhury: 'আর জ্ঞান দিতে আসবেন না', অভিষেককে কটাক্ষ অধীরের, পাল্টা দিলেন কুণাল
অধীর চৌধুরী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিImage Credit source: নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2023 | 5:09 PM

মুর্শিদাবাদ: তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মুর্শিদাবাদের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব সাগরদিঘিতে হারার পর আর জ্ঞান দিতে এসো না।” প্রসঙ্গত, সদ্যই নবজোয়ার যাত্রায় মুর্শিদাবাদে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে তিনি জানান, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ২৪০ আসনে জয়ী হবে তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪০টি আসনে জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে শাসক দল। মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি লোকসভা আসন থেকেই তৃণমূল জিতবে বলে লক্ষ্যও বেঁধে দিয়েছেন অভিষেক। সেই প্রসঙ্গেই মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সামনে অধীর বলেন, তৃণমূলে এখন বেনো জলে ভর্তি।

একাধিক নেতার নাম দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়, “মুর্শিদাবাদ আর তৃণমূলকে রাখবে না।” প্রসঙ্গত, বেশ কিছু দিন ধরেই তৃণমূলে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। মুর্শিদাবাদের মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। তবে এবিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “অধীর চৌধুরী যা বলছেন, তার কোনও মানে নেই। বড় বড় কথা, যা বলি তাই করি। সিপিএমের সঙ্গে জোট করার পর যে দল একুশে শূন্য পেয়েছিল, বিজেপির বি টিম, বিজেপির দালাল, ভোট কেটে বিজেপিকে সুবিধা করিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের খেলা।” অধীরকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আমলে কংগ্রেস শূন্য পেয়েছিল। ইদানীং বিধানসভায় একটা পেয়েছে কংগ্রেস, একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমাদের স্থানীয় ইকুয়েশনে ভুল ছিল।” তিনি আরও বলেন, “সর্বভারতীয় স্তরে যেদিন বিজেপিকে হঠানোর পরিস্থিতি হবে, সেদিন সনিয়া গান্ধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই পরামর্শ নেবেন।”