Awas Yojna: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নাম দোতলা বাড়ির মালিক মনোজবাবুর, স্ত্রী বললেন…

Awas Yojna: তবে একজন নয়, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় একের পর এক এই ছবি ধরা পড়েছে।

Awas Yojna: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নাম দোতলা বাড়ির মালিক মনোজবাবুর, স্ত্রী বললেন…
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ। কেউ বলছেন, রাজনৈতিক প্রভাবশালী বা তাঁদের ঘনিষ্ঠ হলেই ওই যোজনায় ঘর পাওয়া যাচ্ছে। আবার কেউ নিজে থেকেই বিডিও-র কাছে গিয়ে বলছেন নাম কেটে দিতে। সম্প্রতি নবান্নের নির্দেশে শুরু হয়েছে সমীক্ষা। সত্যিকারের যোগ্যরা ঘর পাচ্ছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছেন সরকারি আধিকারিকরা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2022 | 7:00 AM

মুর্শিদাবাদ: দোতলা বাড়ি। রয়েছে ছাদ। নীচে আবার রমরমিয়ে চলছে দোকান। তাতে কী? সরকারি প্রকল্প আবাস যোজনার তালিকায় তাঁর নাম জ্বলজ্বল করছে। তবে একজন নয়, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় একের পর এক এই ছবি ধরা পড়েছে।

গোটা রাজ্য থেকে নিত্যদিন আবাস যোজনায় দুর্নীতির খবর সামনে আসছে। অভিযোগ উঠছে বড় বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তালিকায় নাম আসছে শাসকদল ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের, কোথাও আবার সার্ভে করতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে আশা কর্মীদের। এমন আবহের মধ্যে এবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানার অন্তর্গত চৈতন্যপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নওদাগ্রামে দু’টি বেনিয়মের চিত্র উঠে এল।

প্রথম ঘটনা

অভিযোগ, এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নওদাগ্রামের বাসিন্দা মনোজ সরকার। তাঁর দোতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, মনোজবাবু এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। এই বিষয়ে মনোজ সরকারের ছেলে বলেন, “আগে আমাদের কাচা বাড়ি ছিল। তখন আবেদন করেছিলাম। তাই নাম এসেছে। কিন্তু সরকারের আশায় কে বসে থাকবে? তাই অল্প-অল্প করে টাকা জমিয়ে আমরা বাড়ি তৈরি করেছি।”যদিও, মনোজবাবুর ছেলে রাজনৈতিক ভাবে কোন দল করেন তা ক্যামেরার সামনে খোলসা করতে চাননি।

দ্বিতীয় ঘটনা

ওই একই এলাকায় বাস করেন বাসুদেব সরকার। তিনি আবার পঞ্চায়েত সদস্য বাসুদেব কবিরাজের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাসুদেববাবুর নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। অভিযোগ, তারপরও তাঁকে টাকার বিনিময়ে সরকারি প্রকল্পের বাড়ি দেওয়ার কথা বলেছেন পঞ্চায়েত সদস্য মানব কবিরাজ। আর এই খবর চাউর হতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাসুদেবের স্ত্রী বলেন, “আমার থেকে ২ হাজার টাকা নিয়েছিল। বলেছিল ঘর দেবে। আমার তো টালির ঘর। সেই কারণে টাকা দিয়েছিলাম।”

যদিও পঞ্চায়েত সদস্য বাসুদেব কবিরাজ বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেছেন তিনি কোনও টাকা নেননি।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে এই প্রকল্প চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রকল্পের আওতায় গোটা দেশে ১ কোটি ১২ লক্ষ বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পিএমএওয়াইয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার, বিভিন্ন নোডাল এজেন্সি এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনের মাধ্যমে যাদের প্রয়োজন তাঁদের এই প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।