Jiban krishna saha: ‘পদ মানে লুটে খাওয়া নয়,লোকের সেবা…’, নেটপাড়ায় ঘুরছে জেলখাটা জীবনের বাণী

SSC Scam Case: বস্তুত, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল জীবনকৃষ্ণকে। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় কম নাটকের সম্মুখীন হতে হয়নি তদন্তকারী সংস্থাকে। একদিকে যখন গোয়েন্দা এজেন্সি বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছিল, সেই সময় বাড়ির পাঁচিল টপকে নেমে পুকুরে নিজের মোবাইল ছু়ড়ে ফেলেছিলেন বিধায়ক।

Jiban krishna saha: 'পদ মানে লুটে খাওয়া নয়,লোকের সেবা...', নেটপাড়ায় ঘুরছে জেলখাটা জীবনের বাণী
জীবনকৃষ্ণ সাহা, তৃণমূল বিধায়ক, বড়ঞাImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 16, 2024 | 11:03 AM

মুর্শিদাবাদ: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সদ্য জামিনে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। এবার সেই জীবনকৃষ্ণের পোস্ট নিয়েই চলছে জোর চর্চা। তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘পদ মানে ক্ষমতা নয়। পদ মানে দায়িত্ব। পদ মানে লুটেপুটে খাওয়া নয়। লোককে সেবা করা। এটা ভুলে গেলে আসে অহংকার। তারপর পতন।’ তবে ভাইরাল চ্যাটের সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা।

ভাইরাল চ্যাট

বস্তুত, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল জীবনকৃষ্ণকে। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় কম নাটকের সম্মুখীন হতে হয়নি তদন্তকারী সংস্থাকে। একদিকে যখন গোয়েন্দা এজেন্সি বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছিল, সেই সময় বাড়ির পাঁচিল টপকে নেমে পুকুরে নিজের মোবাইল ছু়ড়ে ফেলেছিলেন বিধায়ক। পরে প্রায় ২ দিন ধরে মেশিন এনে জল বের করে সেই মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এরপর এক বছর জেলেই ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তথ্য প্রমাণ লোপাটের। শুধু তাই নয়, তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছিল তাঁর ফোনের চ্যাট ঘেঁটে এক চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের প্রমাণও পেয়েছে তারা। সেই জীবনকৃষ্ণ এর আগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জামিনের জন্য। কিন্তু খারিজ হয়। পরে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর জামিনের আবেদন গৃহীত হয়। সর্বোচ্চ আদালত এও জানায় নিজের বিধানসভা এলাকা বড়ঞাতেও প্রবেশ করতে পারবেন তিনি।

সেই জীবনকৃষ্ণের এহেন পোস্ট কার্যত ভাবাচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। কেউ কেউ তো আবার বলেই ফেলছেন তাহলে কি চৈতন্য উদয় হয়েছে বিধায়কের? কারণ তিনি জেলে যাওয়ার পর একাংশ তৃণমূল কর্মীরা যেমন মুষড়ে পড়েছিলেন, তেমনই কারও কারও মত ছিল এই ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও নষ্ট হয়েছে। এমন ঘটনা কাম্য ছিল না। কিন্তু বিধায়ক বরাবরই দাবি করেছিলেন তিনি নির্দোষ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আর তাই নিজেকে আরও একবার ‘স্বচ্ছ’ প্রমাণ করতে ও দলীয় কর্মীদের মধ্যে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই কি এই পোস্ট? তার উত্তর যদিও মেলেনি।