Murshidabad: বাবরি মসজিদ বনাম বাবরি মজসিদ! ‘২৬এর আগে মুর্শিদাবাদের মাটি থেকেই কি ‘অভিষেক’ মেরুকরণের রাজনীতির?
Murshidabad: বাবরি মসজিদ স্থাপনের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। পাল্টা রামমন্দির গড়ার ডাক দেয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই মেরুকরণের রাজনীতির 'অস্ত্রে' শান!
কলকাতা: মুর্শিদাবাদে রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ঘিরে বাংলায় সক্রিয় মেরুকরণের রাজনীতি। রামমন্দির বনাম বাবরি মসজিদ! এখন তরজা তুঙ্গে। বাবরি মসজিদ স্থাপনের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। পাল্টা রামমন্দির গড়ার ডাক দেয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই মেরুকরণের রাজনীতির ‘অস্ত্রে’ শান! বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাই।
রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করতে চেয়ে অম্বিকা মহারাজ বলেন, “রামমন্দিরের শিলান্যাস নিয়ে তাতে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা, সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদককেও জানিয়েছি। বিধানসভার আইএসএফের বিধায়ককেও জানিয়েছি। বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছি হুমায়ুন কবিরকে। সেদিন হোম যজ্ঞ হবে।”
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ তৈরি করার কথা বলার পরই অম্বিকা মহারাজ জেলার প্রত্যেকটি ব্লকে ব্লকে রামমন্দির করার ডাক দিয়েছিলেন। প্রথম রামমন্দির প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির প্রত্যন্ত অলঙ্কার গ্রামে। বুধবারই সেই রামমন্দিরেই ভূমি পুজো। একেবারেই প্রত্যন্ত একটি গ্রাম। আশি শতাংশ বাড়িই সেখানে মাটির, খড়ের চালের। সেখানেই মাঠের মাঝে স্থাপিত হচ্ছে রামমন্দির। যাঁরা জমি দান করেছেন, তাঁদেরকে বলা হয়েছে, মন্দিরের পাশাপাশি, একটি হাসপাতাল ও মঠ তৈরি করা হবে। মন্দির ঘিরে মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে আবেগ।
তবে ভূমিপুজোয় আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে হুমায়ুন কবির বলেন, “একেবারেই মিথ্যা কথা বলছে। আমার সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা হয়নি। ২২ জানুয়ারি ভিত পুজো করবেন, কিন্তু কোথায় করবেন, সেই জায়গার নামই বলার সাহস পাচ্ছেন না। উপগ্রহতে করবেন নাকি মাটিতে?” তবে কর্মসূচি অনুযায়ী, ২২ জানুয়ারি যখন ভূমি পুজো হবে, তখন কলকাতা থাকবেন ভরতপুরের বিধায়ক।
এপ্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, “কথায় বলে রঙ্গ করা তারই সাজে, রঙ্গ করার যার ক্যাপিটাল। আমাদের রঙ্গ করা সাজে না। রঙ্গ করার টাকা নেই, মানসিকতাও নেই। পাগলের কারবার। এসব দেখে মানুষ হাসছে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই রামমন্দির স্থাপন ঘিরে এমনিতেই ধর্মীয় মেরুকরণ স্পষ্ট হয়ে গেল। তবে এই কাজটাই প্রথম শুরু হয়েছিল ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের হাত ধরে। মুর্শিদাবাদ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত একটি জায়গা, সেেখানে বাবরি মসজিদ স্থাপনের কথা বলেছিলেন তিনি। ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে তাহলে কি মেরুকরণের রাজনীতিতেই যাচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতি? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি সে কথাই বলছে।