ICDS Center: মেঘ-বৃষ্টি-দুর্যোগের দিনেও বাচ্চাদের ঠাঁই খোলা আকাশের নীচে, আর অঙ্গনওয়াড়ির ভিতরে চরছে ছাগল
Murshidabad: অঙ্গনওয়াড়ির গেটের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাধা ছাগল। ভাবুন কাণ্ড। যেখানে বাচ্চাদের পড়াশোনা হওয়ার কথা, বাচ্চাদের জন্য রান্না হওয়ার কথা, সেখানে চরে বেরাচ্ছে ছাগল। আর বাচ্চাদের ঠাঁই হচ্ছে খোলা আকাশের নীচে, তাও আবার বৃষ্টি-দুর্যোগের দিনেও। বুধবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।
জলঙ্গী: সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার। নাগাড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। এই দুর্যোগের মধ্যেও অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের ভিতরে নয়, বাইরেই চলছে প্রসূতি ও বাচ্চাদের জন্য রান্না। বাইরেই চলছে বাচ্চাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। আর এদিকে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের বিল্ডিংয়ে বসে রয়েছে ছাগল। অঙ্গনওয়াড়ির গেটের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাধা ছাগল। ভাবুন কাণ্ড। যেখানে বাচ্চাদের পড়াশোনা হওয়ার কথা, বাচ্চাদের জন্য রান্না হওয়ার কথা, সেখানে চরে বেরাচ্ছে ছাগল। আর বাচ্চাদের ঠাঁই হচ্ছে খোলা আকাশের নীচে, তাও আবার বৃষ্টি-দুর্যোগের দিনেও। বুধবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।
মেঘ-বৃষ্টির দুর্যোগ ভরা দিনেও খোলা আকাশের নীচেই চলছে আইসিডিএস সেন্টার। আর এই নিয়েই আজ চরম অসন্তোষ দেখা গেল অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি ব্লকের খয়রামারি এলাকার হালদারপাড়া বিলের ধারে রয়েছে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। সেখানেই এই বিক্ষোভ চলে। অভিভাবকদের বক্তব্য, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিল্ডিং থাকার পরেও খোলা আকাশের নীচে আইসিডিএস-এর রান্না চলছে। সেই নিয়েই আজ অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা।
ঘটনার কথা মেনে নিচ্ছেন ওই আইসিডিএস সেন্টারের এক দিদিমণিও। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বক্তব্য, গত প্রায় ১১ বছর ধরে এভাবেই খোলা আকাশের নীচে চলছে আইসিডিএস সেন্টার। বলছেন, ‘মা ও ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে এভাবে কাজ করতে খুবই অসুবিধা হয়। এভাবে খোলা জায়গায় গত ১১ বছর ধরে আইসিডিএস চালাচ্ছি। ২০১৮ সালে এই বিল্ডিংটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু পাঁচ বছর হয়ে গেল, বিল্ডিংটা এখনও হাতে পাইনি।’ ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বক্তব্য, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার দরবার করা হলেও, এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা মেলেনি। এই সমস্যা যাতে দ্রুত সমাধান হয়ে, সেই অনুরোধও জানিয়েছেন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী।