Murshidabad TMC Murder: শাসকদলের কোন্দলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার

Murshidabad TMC Murder: হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। মঙ্গলবার থানার পুলিশ তিনজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় আর কারা জড়িত, তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Murshidabad TMC Murder: শাসকদলের কোন্দলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার
মুর্শিদাবাদে গোষ্ঠীকোন্দলে নিহত তৃণমূল নেতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 25, 2023 | 10:46 AM

মুর্শিদাবাদ: ফের শাসকদলের কোন্দলে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। গ্রাম পঞ্চায়েতের আস্থা ভোটের সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তৃণমূল (TMC) নেতার মৃত্যু (Shot Dead)। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) আজমির সারা এলাকায়। মৃত তৃণমূল নেতার নাম আলতাব আলি। তিনি পেশায় শিক্ষক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ (Murshidabad Medical College) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মধ্যরাতে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় তৃণমূলেরই ওপর গোষ্ঠীর নাম উঠে আসছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার লোচনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আস্থা ভোট ছিল। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান সিনারা বিবির বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন অপর পক্ষ। বিষয়টি গড়িয়েছিল হাইকোর্ট পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে নির্দিষ্ট দিনে, ১৭ সদস্যদের উপস্থিতিতে ভোটাভুটি হয়। আস্থা ভোটে জয়ী হন সোনালি সিংহ রায়। বিধায়ক ঘনিষ্ঠ সোনালি প্রধান হিসাবে নিযুক্ত হন। এদিকে মৃত তৃণমূল নেতা ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেই ২০১৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত উপপ্রধান ছিলেন। তিনি আবার সোনালির ঘনিষ্ঠ। সেক্ষেত্রে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর দিকে অভিযোগ উঠছে।

জানা যাচ্ছে, আলতাব মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাইকে ইসলামপুর থানার লোচনপুর থেকে লালবাগ যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সে সময় মুর্শিদাবাদ থানা এলাকার আজমির সারা এলাকায় দুষ্কৃতীরা গুলি করে বলে অভিযোগ। কোমরের কাছে গুলি লাগে তাঁর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, অপারেশনের পর গুলি বারও করা হয়। কিন্তু তারপর আর চিকিৎসায় সাড়া দেননি আলতাব। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। মঙ্গলবার থানার পুলিশ তিনজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় আর কারা জড়িত, তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সভাপতি মোস্তফা সরকার অবশ্য ইঙ্গিত দিয়েছেন, “‘১৭ জনের মধ্যে ১১ জন আমাদের দলের সঙ্গে আছেন। বাকি ৬জন আমাদের দলের সঙ্গে নেই। গত বিধানসভা ভোটে দলের হয়ে কাজ না করায় তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওঁদের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।” তাঁরাই এই ঘটনায় জড়িত কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।

বিধায়ক সৌমিক হোসেন বলেন, “রেশ থাকতেও পারে। ভোটের সময়ে ওরা ভোট করায় নি। সদস্যরাই প্রায় এক বছর আগে অনাস্থা এনেছিল, হাইকোর্টে কেস চলছিল।হাইকোর্টের নির্দেশে পঞ্চায়েতে ভোট হয়েছে। ১১ জন সদস্য একসঙ্গে থেকে ভোট করেছে, ৬ জন আলাদা ছিল। ওই ৬ জন বিধানসভা ভোটে ভোট করায়নি। তাই বাকি সদস্যদের ওদের ওপর রাগ ছিল। তাই অনাস্থা। তখন ওদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ওরা এখন দলের কেউ নয়।”

জেলার বিজেপি নেতা লাল্টু দাস পাল্টা দিয়ে বলছেন, ‘এটি তৃণমূলের লুঠের লড়াই। যে টিকে থাকবে সেই টিকিট পাবে। আগামী দিনে কে প্রধান হবে, তা এখন থেকে ঠিক করছে ওরা। সেই কারণেই এই সব চলছে।’