Nadia TMC Leader Murder: দলেরই নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর, নদিয়ার তৃণমূল নেতা খুনে উঠল সিআইডি তদন্তের দাবি

Nadia TMC Leader Murder: পরিবারের পক্ষ থেকে নওদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শফিউজ্জামান শেখ ও নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা-সহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

Nadia TMC Leader Murder: দলেরই নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর, নদিয়ার তৃণমূল নেতা খুনে উঠল সিআইডি তদন্তের দাবি
মৃত তৃণমূল নেতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 25, 2022 | 1:50 PM

মুর্শিদাবাদ: নওদায় দিয়ে নদিয়ার তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় এবার সিআইডি তদন্তের দাবি তুলল পরিবার। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের নওদায় গিয়ে বোমা ও গুলির আঘাতে খুন হন নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই খুন বলে সরাসরি অভিযোগ তোলে পরিবার। বৃহস্পতিবার পরিবারের পক্ষ থেকে নওদা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে নওদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শফিউজ্জামান শেখ ও নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা-সহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। মৃতের স্ত্রী সিআইডি তদন্তের দাবি জানান। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

মুর্শিদাবাদের নওদায় খুন নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম। নদিয়ার নারায়ণপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বামী মতিরুল নিজেও করিমপুর ২ ব্লকের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ছিলেন। তাঁদের ছেলে নওদার একটি বেসরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। তার সঙ্গে দেখা করতে মাঝেমধ্যেই নওদা যেতেন মতিরুল। বৃহস্পতিবারও সেখানে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখানেই মোটরবাইক আটকে বোমা মারা হয়। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে গুলি করা হয়। মৃত্যু নিশ্চি করতে হাতের শিরায় ব্লেড দিয়ে কাটা হয় বলেও অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে প্রথমে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই ওই তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

এই ঘটনায় এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। কী করছে পুলিশ ? প্রশ্ন তুলে সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার। নওদা হত্যায় জোরাল হয়েছে কোন্দল-তত্ত্ব। নেতা খুনে কাঠগড়ায় স্থানীয় ব্লক সভাপতি। বিধায়ক তাপস সাহা বলেন, “গত বিধানসভা নির্বাচনে আমি নারায়ণপুর ১ ও ২ থেকে লিড পেয়েছিলাম। ২০ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিলাম। তৃণা সাহা ভৌমিক জেলা পরিষদের সদস্যা বিজেপির হয়ে ভোট করিয়েছিলেন। তিনি মতিরুলকে বলেছিলেন চুপচাপ বসে থাকতে। কিন্তু তা শোনেননি। সেই থেকেই শত্রুতা। ইট ভাটা নিয়ে গন্ডগোল হয়। হাবিব বলে একজন ব্লক সভাপতি এর সঙ্গে রয়েছে।” ইটভাটার দখল নিয়েই বিবাদের জেরে খুন বলে অভিযোগ করছেন সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক মিঠু সাহুও। অভিযোগ অস্বীকারও করছে অপরপক্ষ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মতিরুলের গতিবিধির খবর অভিযুক্তদের দিল কে? তাহলে ঘনিষ্ঠ কেউ কি এর নেপথ্যে জড়িত? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।