Murshidabad Medical College & Hospital: মহিলা চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ রোগীর পরিবারের, সরকারি হাসপাতালে লাগাতার বিক্ষোভ জুনিয়র ডাক্তারদের

Murshidabad: হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিগ্রহের ঘটনা এই প্রথম নয়। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল রবিবার সকাল দশটায়।

Murshidabad Medical College & Hospital: মহিলা চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ রোগীর পরিবারের, সরকারি হাসপাতালে লাগাতার বিক্ষোভ জুনিয়র ডাক্তারদের
চিকিৎসকদের বিক্ষোভ (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2022 | 10:04 AM

মুর্শিদাবাদ: মহিলা চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগ উঠল রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। চিকিৎসকের অভিযোগ, স্থীতিশীল রোগীকে প্রথমে চিকিৎসা না করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা রোগীকে তৎক্ষনাত পরিষেবা দেওয়ায় নিগ্রহের শিকার হতে হল তাঁকে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা। গোটা ঘটনায় সোমবার হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিগ্রহের ঘটনা এই প্রথম নয়। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল রবিবার সকাল দশটায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পুরুষ বিভাগে চিকিৎসা করছিলেন জুনিয়র ডাক্তার স্বাতী কর সরকার। সেই সময় স্থিতিশীল রোগীর থেকে নতুন আগত আশঙ্কাজনক মুমূর্ষু রোগীকে তৎখনাত পরিষেবা দিতে যান তিনি। অভিযোগ, তখনই চড়াও হয় স্থীতিশীল রোগীর আত্মীয়রা। মারধর করার অভিযোগ ওঠে মহিলা চিকিৎসককে। জানা গিয়েছে, যে সময় মারধর করা হচ্ছিল সেই সময় ওয়ার্ডে উপস্থিত ছিলেন না কোনও নিরাপত্তারক্ষীও।

এরপর সেই মারধরের ঘটনার প্রতিবার রবিবার রাত্রি সাড়ে দশটার সময় ইমারজেন্সির দ্বিতীয় গেটের ভিতরে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। অভিযোগ, হাসপাতাল সুপার ডঃ এ কে বেরা প্রথমে অভ্যন্তরীণ সমস্যা বলে মিটিয়ে নিতে বলেন। তবে এতে বরফ গলেনি। তিনি আস্বস্ত করতে পারেননি নব চিকিৎসকদের। এরপর রাত দেড়টা নাগাদ পুলিশের তরফে জানানো হয়, যে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। যদিও ডাক্তারদের দাবি, দোষীদের পুলিশি  হেফাজতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে উপযুক্ত সাজা না দিলে তাঁরা অনশন তুলবেন না।

এই বিষয়ে সুপার একে বেরা বলেন, ‘বর্তমানে একশো জন সিকিউরিটি আছে। তারপরও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল জানি না।’ অপরদিকে, জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন যে, এখানে প্রতিসিফ্টে কুড়ি জন করে উপস্থিত থাকে। অতএব সিকিউরিটি গার্ড কম থাকায় এই ভাবে হেনস্থা শিকার হতে হয়। করোনাকালে তিনশো জন সিকিউরিটি গার্ড ছিল হঠাৎকরে তাদের সরিয়ে দেওয়ার কারণে চিকিৎসকরা অসহায় বোধ করছেন। এই চলতে থাকলে তাঁরা সঠিক ভাবে কাজ করতে পারবেন না।