TMC MLA: ‘চোর-চোর’, দুয়ারে সরকারের শিবিরে চেঁচিয়ে উঠলেন বৃদ্ধ, তেড়ে গেলেন বিধায়ক
TMC MLA: যদিও ঘটনার পর রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। পরে ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “না বুঝে এ কথা বলে ফেলেছেন। উনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তবে আমি ওনাকে আগে থেকে চিনতাম না।”
মুর্শিদাবাদ : চলছে দুয়ারের সরকারের (Duare Sarkar) শিবির। সেখানেই এসেছিলেন এলাকার বিধায়ক (TMC MLA)। তাঁকে দেখা মাত্রই চোর চোর বলে চেঁচিয়ে উঠতে দেখা যায় এক বৃদ্ধকে। চোর ডাক শুনে তাঁর দিয়ে এগিয়েও গেলেন বিধায়ক। বেশ খানিকক্ষণ চলল উত্তপ্ত বাক্য বিনময়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা দেখতে পাওয়া গেল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা ব্লকের করুন্নরুন গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মান্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। এখানেই চলছিল দুয়ারের সরকারের শিবির। সেখানেই বার্ধক্যভাতার জন্য আবেদন করতে এসেছিলেন এলাকার বাসিন্দা সূর্য ঘোষ। অন্যদিকে শিবিরের কাজ কেমন চলছে তা দেখতে যান বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তাঁকে দেখেই চোর বলে চিৎকার করে ওঠেন বৃদ্ধ সূর্য। তা শুনেই রীতিমতো মেজাজ হারিয়ে ফেলেন বিধায়ক।
সঙ্গে সঙ্গে ওই বৃদ্ধের দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলে ওঠেন, “আমার বাড়ি চলুন। গিয়ে দেখুন আমি চুরি করা লোক কিনা। আমার দিয়ে তাকিয়ে কথা বলুন। কোনও মানুষকে না চিনে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করবেন না। আমি চুরি করা ঘরের ছেলে নয়। আমার বাবা রাইস মিলের মালিক। আমি স্টোরের মালিক। আমরা এলাকার রেশন ডিস্ট্রিবিউটর। আমরা বিলিয়ে দিই। চুরি করা আমাদের কাজ নয়।” কিন্তু, কেন এমন বলতে গেলেন ওই বৃদ্ধ? তাঁর অভিযোগ, বার্ধক্যভাতার আবেদন করতে এলেও দুয়ারের শিবিরের ক্যাম্পে তাঁকে বলা হয় এখন আবেদন করা যাবে না। তিনি বলেন, “ওরা বলছে পুরনো লোকের আবেদন আমরা জমা নেব না। এখন তো চারদিকে সবাই সব কিছু চুরি করে নিচ্ছে। সব বিধায়ক, মন্ত্রীরাই তো চুরি করে নিচ্ছে। যদি আমাদের আবেদন না জমা নেয় তাহলে আমাদের এখানে আসার মানে কি হল।”
যদিও ঘটনার পর রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। পরে ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “না বুঝে এ কথা বলে ফেলেছেন। উনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তবে আমি ওনাকে আগে থেকে চিনতাম না। ওনাকে কেউ শিখিয়ে দিয়েছিলেন, সেই বুলিই উনি প্রথমে বলছিলেন। এর পিছনে বিরোধীদের চক্রান্ত আছে কিনা মানুষই বলবে।”