Siddiqullah Chowdhury: ‘সাগরদিঘিতে যা ঘটেছে, তা বিরল ঘটনা’, সংগঠন পোক্ত করতে জেলায় হাজির মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা
Siddiqullah Chowdhury: তৃণমূলের মতো একটা বড় দল যাতে সুষ্ঠুভাবে চলে, তার জন্য এই সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
মুর্শিদাবাদ: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের পর তৎপর হয়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই ফল শাসক শিবিরের একটা বড় ধাক্কা বলেই মনে করে ওয়াকিবহাল মহল। সেই ফলাফলের এবার মুর্শিদাবাদে দফায় দফায় বৈঠক তৃণমূল নেতৃত্বের। তৃণমূলের তরফে মুর্শিদাবাদ জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মোশারফ হোসেনকে। বুধবার সেই জেলায় গিয়ে বৈঠক করলেন মোশারফ হোসেন ও রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মুর্শিদাবাদে বহরমপুর সাংগঠনিক জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের নিয়ে এদিন বৈঠক করেন দুই নেতা। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর দাবি, সাগরদিঘিতে যা ঘটেছে, তা বিরল ঘটনা। এমনটা আর হবে না বলেই মনে করেন তিনি।
সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বৈঠক শেষে বলেন, ‘নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁকে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং সাংগঠনিক অবস্থা পর্যালোচনা করার দায়িত্ব দিয়েছেন। মঙ্গলবার মালদহে সেই পর্যালোচনার কাজ শুরু হয়েছিল।’ এবার মুর্শিদাবাদে সাংগঠনিক নেতৃত্ব ও কর্মীদের সঙ্গে সেই বিষয়ে আলোচনা হল বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিনের বৈঠকে জেলা পরিষদের ২৫ থেকে ৩০ জন সদস্য উপস্থিত হয়েছিলেন। আটটি পুরসভার চেয়ারম্যানের মধ্যে ছয়টি পুরসভা থেকে প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। ছিলেন দলের সাত বিধায়ক এবং প্রবীণ নেতারা।
তৃণমূলের মতো একটা বড় দল যাতে সুষ্ঠুভাবে চলে, তার জন্য এই সভায় আলোচনা হয়েছে। নেতাদের কাছ থেকে বেশ কিছু পরামর্শ উঠে এসেছে, যা মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কংগ্রেসের কোনও লিডার নেই। কংগ্রেসের যে নেতারা ছিলেন, তাঁরা সবাই তৃণমূল হয়ে গিয়েছেন।’ সাগরদিঘিতে যা হয়েছে, তা একটি ‘বিরল ঘটনা’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, কোনও না কোনও কারণে ঘটে গিয়েছে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি মুর্শিদাবাদে আর কোথাও হবে না, বলে আত্মবিশ্বাসী সিদ্দিকুল্লা।