Humayun Kabir: ‘যেন আমরা যোগ্য ব্যক্তিই নই’, সরকারি মঞ্চেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিধায়ক হুমায়ুনের
Murshidabad: শুক্রবারই বহরমপুরে উদ্বোধন হয়েছে মুর্শিদাবাদ খাদি মেলার। সরকারি এই অনুষ্ঠানে বিধায়কদের কাছে আমন্ত্রণ গিয়েছে বটে। কিন্তু আমন্ত্রণপত্রে বিধায়কদের নাম নেই। এই নিয়েই মেলার উদ্বোধনে ভরা মঞ্চ জেলা প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবির।
মুর্শিদাবাদ: জেলায় ২২ জন বিধায়ক। দু’জন বিজেপির, বাকি ২০ জনই শাসক দলের। কিন্তু সরকারি মেলার আমন্ত্রণপত্রে বিধায়কদের কারও নাম নেই। আর এই নিয়েই এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শুক্রবারই বহরমপুরে উদ্বোধন হয়েছে মুর্শিদাবাদ খাদি মেলার। সরকারি এই অনুষ্ঠানে বিধায়কদের কাছে আমন্ত্রণ গিয়েছে বটে। কিন্তু আমন্ত্রণপত্রে বিধায়কদের নাম নেই। এই নিয়েই মেলার উদ্বোধনে ভরা মঞ্চ জেলা প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
বহরমপুরের ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে এই বছরের জেলা খাদি মেলার উদ্বোধন হয়েছে। চলবে আগামী ৬ই জানুয়ারি পর্যন্ত। ১৬০টি স্টল এবার অংশ নিয়েছে জেলার খাদি মেলায়। গতকাল সেই মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে বিধায়ক বললেন, “এই জেলার ২২ জন বিধায়ক রয়েছেন। জেলায় এত বড় একটি মেলা হচ্ছে। আপনারা যে আয়োজকদের কার্ড ছাপিয়েছেন, সেখানে আমরা এটুকু সম্মান আশা করি আধিকারিকদের কাছে। কার্ডে বিধায়কদের নাম রাখা উচিত ছিল। আমাদের নামগুলি পর্যন্ত কার্ডে নেওয়া হয়নি। একটি কার্ড এমনভাবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন আমরা যোগ্য ব্যক্তিই নই। আমরা কিন্তু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।”
বিধায়ক যখন এমন মন্তব্য করছিলেন মঞ্চে, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যান কল্লোল খাঁ, খাদি বোর্ডের চিফ একজিকিউটিভ অফিসার নিমাই চাঁদ হালদার-সহ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা। হুমায়ুনের এমন মন্তব্যের জেরে বেশ অস্বস্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন মঞ্চে উপস্থিত প্রশাসনিক কর্তারাও। সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেওয়া হয় বিধায়কের কাছে। খাদি বোর্ডের চিফ একজিকিউটিভ অফিসার নিমাই চাঁদ হালদার এরপরই মঞ্চ থেকেই বিধায়কের উদ্দেশে বললেন, “এই ত্রুটির জন্য প্রশাসন সত্যিই দুঃখিত। ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল আর যাতে না হয় সেদিকে নজর থাকবে। বিধায়করা তাঁদের কাছে শ্রদ্ধেয়। তিনি বলেন, “এই ত্রুটির জন্য আমরা সত্যিই আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল আর যাতে না হয় সেদিকে নজর থাকবে। বিধায়করা আমাদের কাছে শ্রদ্ধেয়। তাঁদের নির্দেশই আমাদের চলার পথে পাথেয়। তাঁরা কেউই আমাদের কাছে ফেলনা নন।”
হুমায়ূন কবির এর পাশে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক তৃণমূলের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা কান্দির তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকারও। তিনি বলেন, ‘এই জেলায় কিছু কিছু আধিকারিক আছেন, তাঁরা নিজেকে সর্বে সর্বা ভাবছেন। শীঘ্রই সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’