Humayun Kabir: ‘সময়ই কথা বলবে’, তৃণমূল শোকজ় করায় আরও সুর চড়ালেন হুমায়ুন

Humayun Kabir Show Cause: শনিবার সকালেই দলের তরফে শোকজ়ের চিঠি গিয়ে পৌঁছেছে তাঁর বাড়িতে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগে তাঁকে শোকজ় নোটিস ধরানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

Humayun Kabir: 'সময়ই কথা বলবে', তৃণমূল শোকজ় করায় আরও সুর চড়ালেন হুমায়ুন
হুমায়ুন কবিরImage Credit source: নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2023 | 2:04 PM

মুর্শিদাবাদ: ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড বেশ অস্বস্তি বাড়াচ্ছিল শাসক দলের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে সেই অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছিলেন। ‘ছেলের বিয়ের বৌভাতে’ আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে আফশোস চেপে রাখেননি হুমায়ুন। টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরায় সেই ‘দুঃখের’ কথা শুনিয়েছিলেন বিধায়ক। আর এসবের মধ্যেই এবার ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ দলের। হুমায়ুন কবিরকে শোকজ করেছে তৃণমূল। শনিবার সকালেই দলের তরফে শোকজ়ের চিঠি গিয়ে পৌঁছেছে তাঁর বাড়িতে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগে তাঁকে শোকজ় নোটিস ধরানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

বাড়িতে শোকজ নোটিস পৌঁছানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরও। টিভি নাইন বাংলাকে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি এখন বহরমপুরে রয়েছি। এক ঘণ্টা আগে আমার বাড়ির ঠিকানায় চিঠি এসেছে। আমার ছেলে গুলাম নবি আজাদ সেই চিঠি সংগ্রহ করেছে।’ বিধায়ক জানাচ্ছেন, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সই করা লেটারহেডে শোকজ নোটিস রিসিভ করেছেন তাঁর ছেলে। তবে সেই চিঠিতে কী লেখা রয়েছে, তা এখনও পড়ার সুযোগ পাননি বিধায়ক। বলছেন, ‘বহরমপুর থেকে ফিরে আমি নিশ্চয়ই সেটা পড়ব। রাজ্য নেতৃত্ব যা জানতে চেয়েছে, আমি যথাযথ সময়ে সেই শোকজ়ের উত্তর নেতৃত্বকে দেব।’

এদিকে শোকজ় নোটিস বাড়িতে পৌঁছানোর পর আরও সুর চড়াচ্ছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। বলছেন, ‘আমি ৪৩ বছর ধরে রাজনীতি করি। ১৮ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করছি। যতদিন আমার শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকব। তৃণমূল নেত্রীকে দেখে নতুন করে ২০২০ সালে অনেক তিক্ততা ভুলে আমার আমি তৃণমূলের কাছে অঙ্গীকার করেছিলাম। বলেছিলাম, আমাকে দল করার সুযোগ দেওয়া হোক। নেতৃত্বও আমাকে দল করার সুযোগ দিয়েছে। নিজের এলাকায় না দিলেও পাশের বিধানসভায় প্রতীক নিয়ে লড়াইয়ের সুযোগ দিয়েছে।’

উল্লেখ্য, ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে এর আগেও দলের তরফে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছিল। দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সেই ক্ষোভের কথাও আজ বেরিয়ে আসে হুমায়ুন কবিরের গলায়। বলছেন,  ‘আমার রাজনৈতিক জীবনে বিগত দিনে অনেক ঘটনা ঘটেছে। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দলের তৎকালীন মহাসচিব অন্যায়ভাবে আমাকে আত্মপক্ষ পর্যালোচনার সুযোগ না দিয়েই ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছিলেন। আমার প্রতি অন্যায় হয়েছিল, অবিচার হয়েছিল।’ হুমায়ুন কবির অবশ্য বলছেন, আগামী দিনে তিনি শোকজের যথাযথ উত্তর দিয়ে নেতৃত্বের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু যদি সেক্ষেত্রে ব্যর্থ হন, তাহলে কী পদক্ষেপ করবেন তিনি, সেটি অবশ্য স্পষ্ট করেননি। বলছেন, সেক্ষেত্রে আগামী দিনে কী কর্মসূচি হবে, তা নিয়ে সময়ই কথা বলবে।