Murshidabad: দলের বিধায়কের বিরুদ্ধেই দলাদলি করার অভিযোগ প্রাক্তন বিধায়কের

Murshidabad: মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি, ফরাক্কা-সহ অন্যান্য ব্লকে তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে বলে দাবি মইনুল হকের। সেই কোন্দলের শিকার যে তিনিও সে কথাও এদিন তুলে ধরেন মইনুল।

Murshidabad: দলের বিধায়কের বিরুদ্ধেই দলাদলি করার অভিযোগ প্রাক্তন বিধায়কের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2022 | 9:58 PM

মুর্শিদাবাদ: দলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ তুললেন তৃণমূল নেতা তথা ফরাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক মইনুল হক। শুধু ফরাক্কা নয়, বিভিন্ন ব্লকেই এঅ কোন্দলের আঁচ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। রবিবার তৃণমূলের সাংগঠনিক জঙ্গিপুর জেলার সমস্ত নেতা, কর্মী, বিধায়কদের নিয়ে সাংগঠনিক আলোচনা সভা ছিল। সেখানেই এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ফরাক্কার পোড় খাওয়া রাজনীতিক মইনুল হক। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি, ফরাক্কা-সহ অন্যান্য ব্লকে তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে বলে দাবি মইনুল হকের। সেই কোন্দলের শিকার যে তিনিও সে কথাও এদিন তুলে ধরেন মইনুল। তাঁর কথায়, জেলার মন্ত্রী জাকির হোসেনের সভায় তৃণমূলে যোগদান তাঁর। অথচ জেলার কোনও দলীয় বৈঠকে তাঁকে ডাকা পর্যন্ত হয় না বলে অভিযোগ তোলেন মইনুল। একইসঙ্গে মইনুল হকের দাবি, তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসার পর দলীয় কার্যালয়গুলিও তৃণমূলের হয়ে যায়। এরমধ্যে অর্জুনপুর পার্টি অফিসে সম্প্রতি পুরনো তালা বদলে নতুন তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিন মইনুল হক বলেন, “আমি যখন কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসি, বেশিরভাগ জেলার নেতা কর্মী আমার সঙ্গে চলে আসেন। জাকির হোসেনের জনসভায় যোগ দিই আমরা। পরে সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুরে বিধানসভার উপনির্বাচনে আমি নিয়ম করে প্রচার করি। ভোট মিটে যাওয়ার পর পুরনো তৃণমূল, বর্তমান বিধায়ক মণিরুল ইসলামের নেতৃত্বে যাঁরা তৃণমূল করেন, তাঁরা কথা বলতেন না আমাদের সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবে না ডাকলে যাওয়ার প্রশ্ন ছিল না। পরে একসঙ্গে মিটিং করে কাজও করি। কিছু হল দেখছি আমাকে তো ডাকেই না। আমার সঙ্গে অঞ্চল সভাপতি বা ব্লক সভাপতি যাঁরা ছিলেন, পঞ্চায়েত সমিতির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সকলকে ছেঁটে দেওয়া হচ্ছে। মিটিংয়ে ডাকছে না। তা হলে আমাদের ভূমিকা কী? এটাই আমি বললাম।”

ফরাক্কার বিধায়ক মণিরুল ইসলাম বলেন, “উনি বরং আগে ঠিক করুন, উনি কংগ্রেস করছেন নাকি তৃণমূল করছেন। সম্প্রতি এনটিপিসির একটা ভোট হয়। সেখানে আমাদের কোনও ইউনিয়ন নেই। কংগ্রেস ও সিপিএমের ইউনিয়ন আছে। আইএনটিইউসি আর সিটু। ওখানে ভোটাভুটি হল, আইএনটিইউসি জিতল। উনি আবীর খেলছেন। আর চাবির কথা যেটা বলছেন, তৃণমূলের ওটা দলীয় কার্যালয়। ওখানে একটা চাবির তালা লাগানো ছিল। তিনটে চাবিওয়ালা তালা লাগানো হয়। একটা অঞ্চল সভাপতি, একটা প্রধানের কাছে আর একটা পাশে যিনি থাকেন তাঁর কাছে থাকবে। আর উনি তৃণমূলে তো কাজ করতে এসেছেন, মাতব্বরি করতে তো আসেননি।” অন্যদিকে জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, “যে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার কথা বলছেন সেটা ক্ষোভের বিষয়ই নয়।”