Murshidabad: ফুঁসছে গঙ্গা, পাড় ভাঙার খেলায় পুজোর মুখে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন নদীর ধারের মানুষগুলো…
Murshidabad News: সোমবার সামসেরগঞ্জের চাচণ্ডতে গঙ্গা ভাঙন পরিদর্শনে যান গ্রামপঞ্চায়েত প্ৰধান-সহ অন্যান্য আধিকারিক। সেখানে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের।
মুর্শিদাবাদ: নদীর ধারে বাস, দুঃখ বারো মাস! ফি বছর বর্ষা এলেই চোখের ঘুম উড়ে যায় মানুষগুলোর। আতঙ্ক-উদ্বেগে ভুগতে থাকেন, এই বুঝি ভেসে গেল ঘরদোর। ভিটেমাটি ছেড়ে বুঝি বা ছুটতে হবে ত্রাণশিবিরে। নতুন করে গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়েছে সামসেরগঞ্জের উত্তর চাচণ্ড এলাকায়। পুজোর মুখে চিন্তার ভাঁজ এলাকাবাসীর কপালে। গঙ্গা সংলগ্ন এলাকার একটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র যে কোনও মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমবার স্কুলে গিয়েছিলেন ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষক, শিক্ষিকা। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগের যে, স্কুল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন তাঁরা।
সোমবার সামসেরগঞ্জের চাচণ্ডতে গঙ্গা ভাঙন পরিদর্শনে যান গ্রামপঞ্চায়েত প্ৰধান-সহ অন্যান্য আধিকারিক। সেখানে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। গঙ্গার কাজ ও ভাঙনরোধে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার লোকজন। গতবছরও সামসেরগঞ্জের উত্তর চাচণ্ড গ্রাম ভয়াবহ ভাঙনের মুখে পড়েছিল। এ বছর বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন আটকানোর চেষ্টা করা হলেও ভাঙন আদৌ আটকানো যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার লোকজন। এদিন একটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে ফাটল দেখা দেয়। সেটি গঙ্গার ধারেই।
উত্তর চাচণ্ডের বাসিন্দা মোদাস্সর হোসেন বলেন, “রাতে আমরা চোখের পাতা এক করতে পারি না। নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে রবিবার রাত থেকে। প্রায় প্রায়ই ভাঙন দেখা দেয়। বর্ষা এলে তো কথাই নেই। এখন তো শিশু শিক্ষা চাচণ্ড স্কুলের সামনে চলে এসেছে। পঞ্চায়েতের লোকজন এসেছে। এর আগেও বলে গিয়েছিল ব্যবস্থা করে দিয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত কাজ হয়নি। আমরা কাজটা চাই, অন্য কিছু চাই না।”
বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র মুণ্ডা জানান, “আপনারা জানেন এটা ভাঙন অধ্যুষিত একটা ব্লক। আমাদের পাঁচটা গ্রামপঞ্চায়েত আছে। সবটাই ভাঙনপ্রবণ এলাকা। এর আগে প্রায় ৮০০টা পরিবার বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। আমাদের ব্লক থেকে হাউজ বিল্ডিং গ্র্যান্টও দিয়েছি। ইরিগেশন থেকে কাজও করেছে। যেখানে যেখানে যেমন যেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, আমরা নজর রেখেছি।”