Narco Dealers: পোস্ট অফিসে এল হেরোইনের পার্সেল! মাদকের চোরা কারবারে চোখ ছানাবড়া
West Bengal STF: প্রথমে হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেফতার হয় শফি ইসলাম শেখ এবং তারপর মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে আরও দু'জন - গুড্ডু শেখ ও সুরজ শেখ। শফিকে গ্রেফতার করার পর জেরা পর্বে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে। মাদক পাচারের এক অভিনব পন্থার রহস্যভেদ করলেন এসটিএফ-এর গোয়েন্দারা।
মুর্শিদাবাদ: আন্তঃরাজ্য মাদক পাচার চক্রের বড়সড় পর্দাফাঁস করল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। সব মিলিয়ে কোটি কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মিলেছে ৪ কেজি হেরোইন। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। প্রথমে হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে শফি ইসলাম শেখ এবং তারপর মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে আরও দু’জন – গুড্ডু শেখ ও সুরজ শেখ। শফিকে গ্রেফতার করার পর জেরা পর্বে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে। মাদক পাচারের এক অভিনব পন্থার রহস্যভেদ করলেন এসটিএফ-এর গোয়েন্দারা।
শফিকে জেরা করে এসটিএফ-এর গোয়েন্দারা জানতে পারেন, এই ব্যক্তি ও তার সাগরেদরা উত্তর পূর্বের একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। যেমন নাগাল্যান্ড, মণিপুর ইত্যাদি রাজ্যের মাদক কারবারিদের সঙ্গে যোগ রয়েছে এদের। আর এদের মাদক পাচারের কারবার চলত ডাক যোগে। ভাবতে পারছেন? পোস্ট অফিসে পাঠানো পার্সেল মারফত ডেলিভারি মত উচ্চমানের মাদকের। তারপর সেই মাদক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্লায়েন্টদের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হত। শফি ইসলামকে জেরা করে এমনই তথ্য উঠে এসেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অফিসারদের হাতে।
এসটিএফ-এর অফিসাররা জানতে পেরেছেন, এরকমভাবেই শফির দুই সাগরেদ গুড্ডু ও সুরজের কাছে গিয়েছিল মাদকের পার্সেল। একটি পার্সেল গিয়েছিল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা পোস্ট অফিসে, অন্যটি গিয়েছিল নবগ্রাম পোস্ট অফিসে। শফির থেকে পাওয়া সেই তথ্যের ভিত্তিতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের একটি টিম বহরমপুরের কাশেমবাজার এলাকায় হানা দেয় এবং সেই অভিযানেই ধরা পড়ে গুড্ডু ও সুরজ। বাইকে চেপে মাদক ডেলিভারি দিতে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় ওই দু’জন। এসটিএফ গোয়েন্দারা আরও জানতে পারেন, ওই মাদকের পার্সেলগুলি এসেছিল নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর থেকে এবং সেগুলি যথাক্রমে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ও নবগ্রাম পোস্ট অফিসে পাঠানো হয়েছিল।